‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের মোড়কে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন— ‘আওয়ামী লীগের চরিত্রের মধ্যে গণতন্ত্র নেই, তাদের কাঠামোর মধ্যেও গণতন্ত্র নেই। স্বাধীনতার পরে তারা একদলীয় শাসন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। আবার এই ১৪ বছরে ধরে ওপরে গণতন্ত্রের মোড়কে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। মানুষ আজ মুখ খোলে কথাও বলতে পারছে-না। তারা সাংবিধানিক অধিকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও কেড়ে নিয়েছে। দেশের মানুষ এটা মেনে নেবে না।’
আগামী ১৯ নভেম্বর বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে শুক্রবার বিকেলে গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাইয়ুম চৌধুরী বলেন— ‘বিএনপির আন্দোলন জনগণের জন্যে, জনগণের ভোটের অধিকার, বাঁচার অধিকার, মত প্রকাশের অধিকারের জন্য। এই আন্দোলন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্ত করার জন্য, এই আন্দোলন দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্বিঘ্নে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য। এই আন্দোলন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য।
‘আগামী ১৯ নভেম্বর বিভাগীয় গণসমাবেশে সিলেটবাসীকে স্বতস্ফুর্তভাবে অংশ নিয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে কড়া বার্তা দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন— ‘এ দেশ কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, দেশের মালিক জনগন। সিলেটের গণসমাবেশে জনস্রোতের আবাস পেয়ে সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে। তারা প্রশাসনকে ব্যাবহার করে বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির প্রচার কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে। কোনো বাধা বিপত্তিই আগামী ১৯ নভেম্বরের জনতার জোয়ারকে আটকানো যাবেনা।’
গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মশিকুর রহমান মহির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এবং পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন— ‘আওয়ামী লীগ মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করে দেশকে দেউলিয়ার পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। তারা আজ জনগণকে বিদ্যুৎ দিতে পারছে-না, অথচ এক সময় এই বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের লোকেরা দম্ভোক্তি করেছিলো। আজ দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, সরকার জনগণকে কম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। অথচ তারা লুটপাটের টাকায় দেশে-বিদেশে আয়েশী জীবন-যাপন করছেন।
‘সকল দমন-পীড়ন উপেক্ষা করেই দেশের মানুষ এদেরকে ক্ষমতা থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে আনবে। তাই আওয়ামী লীগের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ জানাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ যোগদান করতে হবে। পৃথিবীর কোনো ফ্যাসিস্ট ঠিকে থাকতে পারে নাই, আওয়ামী লীগও পারবে-না। ইনশাআল্লাহ।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন— সিলেট জেলা বিএনপি নেতা মামুন রশিদ মামুন, ইসতিয়াক আহমমদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা কামরুল হাসান শাহীন, গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহীন, নেমান উদ্দিন মুরাদ, মনিরুজ্জামান উজ্জল, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, ময়নুল হক, ফয়সল আহমদ, মামুনুর রশিদ, অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমদ, অী্জুন ঘোষ, আক্তার হোসেন রাজু, আহাদ চৌধুরী শামীম, আজিজুল ইসলাম আজিজ, জামিল আহমদ চৌধুরী, মিনহাজ আহমদ চৌধুরী, লিটন আহমদ, কাজী মেরাজ, অ্যাডভোকেট মামুন আহমদ রিপন, তোফায়েল আহমদ, আব্দুস সালাম টিপু, জোনাক আহমদ প্রমুখ।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ইউনিয়নে আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি আয়োজিত প্রচার মিছিল ও প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
এ সময় জেলা বিএনপি নেতা মামুনুর রশিদ মামুন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী সাহাব উদ্দিন, ফালাকুজামান জগলু, হাজী তাজরুল ইসলাম তাজুল, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমেদ, বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক, মনিরুল ইসলাম তুরন, লোকমান আহমেদ, নিজাম উদ্দিন তরফদার, মাহমুদ আলী, হাজী আসাদ, হাজী পাবেল, আব্দুস সালাম টিপু, তোফায়েল আহমেদ, বাবল আহমেদ রনি, সোহেল ইবনে রাজা, মোবারক হোসেন তুহিন, মকসুদুল করীম নোহেল, রায়হানুল হক, ফয়জুল ইসলাম পীর, আনোয়ার আহমেদ, সাদেক আহমেদ, আশিক আলী, মন্তাজ আলী ঠাকুর, নজমুল ইসলাম, দুলাল আহমেদ, রুশন আলী, রিপল আহমেদ, নাহিদ আহমেদ, মজন আলী মজন, সোহানুর রহমান সামাদ, হুমায়ুন আহমেদ, মেহেদী হাসান সাজাই, রেদুয়ান আহমেদ, সালাউদ্দিন লিটন, মনজু আহমদ মঞ্জু, সাদিকুর রহমান নাঈম, বাবলা মিয়া, আব্দুল গফুর, রাজ খান ইমন, আদনান আহমদ, আবু সাহেদ, মাসুদ আহমদ, সেবুল আহমেদ, আব্দুস সামাদ, তানভীর আহমেদ, জহুরুল আলম, সানোয়ার বক্ত, ফাহিমুল ইসলাম ফাহিম, শাহ সানী, মামুন আহমেদ, সানুর আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।