যুবলীগের ‘তল্লাশি চৌকিতে’ সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ
সময় সংগ্রহ
ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বাগেরহাটের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দিনভর অবস্থান নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মোরেলগঞ্জ উপজেলায় যুবলীগের এমন একটি অবস্থান থেকে এক সাংবাদিকসহ কয়েকজনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার সকালে উপজেলার সাইনবোর্ড-বগি আঞ্চলিক মহাসড়কের মাঝিবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ লোহার রড ও লাঠি উদ্ধার করে।
মারধরের শিকার সাংবাদিকের নাম এস এম সাইফুল ইসলাম (৪৮)। উপজেলার ভাইজোড়া এলাকার বাসিন্দা সাইফুল দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি ও মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য। ঘটনার পর তাঁকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন— পারিবারিক কাজে সকালে স্ত্রী ও ফুপাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে পাশের মোংলা উপজেলায় গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে ফেরার পথে বেলা ১১টার দিকে মাঝিবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেনের নেতৃত্বে অটোরিকশাটি আটকে দেওয়া হয়।
এ সময় সেখানে যুবলীগের একটা বড় জটলা ছিল। তারা বিভিন্ন যানবাহন এবং লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। কেন আটকানো হলো জানতে চাইলে, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলা হয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও তারা মারধর করেন। হামলাকারীরা তাঁর স্ত্রী ও ভাইকে অটোরিকশা থেকে টেনে বের করে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি মৌখিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
সাইফুল ইসলামের স্ত্রী সাথী ইসলাম বলেন— ‘আমরাও আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তারপরও পথে ঘাটে আমাদের কেন মার খেতে হলো?’
সাংবাদিককে মারধরের বিষয় জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা সাব্বির হোসেন বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন— তেমন কিছু হয়নি। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এ জন্য তিনি এবং তল্লাশি চৌকিতে থাকা কয়েকজন সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন— অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সৌজন্যে : প্রথম আলো