সুনামগঞ্জে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ধর্ষণ থেকে রক্ষা পেল স্কুলছাত্রী
তাহিরপুর প্রতিনিধি
নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ধর্ষণচেষ্টাকারীর কবল থেকে রক্ষা পেল সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ১১ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী। রোববার রাতে ভিকটিমের বাবা উপজেলার বাদাঘাট উওর ইউনিয়নের ইউনুছপুর গ্রামের পুরানহাটির আসাদ মিস্ত্রি এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত আসাদ ২ ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক। গত রোববার সন্ধ্যায় ইউনুছপুর গ্রামের পুরানহাটির ভাঙার খাল নদীর পূর্বতীরের পতিত ভিটায় এ ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে।
ভিকটিমের পরিবার ও গ্রামবাসী জানান, উপজেলার ইউনুছপুর গ্রামের পুরানহাটির ধনাঢ্য আসাদ মিস্ত্রি প্রতিবেশী সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের চতুর্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে গল্পের ছলে ফুঁসলিয়ে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গ্রামের ভাঙার খাল নদীর পূর্বতীরের পতিত ভিটায় নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা করলে নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই স্কুলছাত্রী দ্রুত ঝাঁপ দিয়ে নদীতে পড়ে। ভিটার পাশ দিয়ে যাতায়াতকালে গ্রামের একদল লোক নদীতে কিছু একটা ঝাঁপ দিতে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে যান। এ সুযোগে ধর্ষণচেষ্টাকারী আসাদ দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি রাতেই গ্রামে জানাজানি হলে ভিকটিমের পরিবারকে মধ্যরাত সাড়ে ১২ অবধি আইনি সহায়তা না নিতে গ্রামে থাকা আসাদের স্বজন ও একদল কথিত সালিশি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
অবশেষে আইনি সহায়তা ও ঘটনার ন্যায়বিচার পেতে স্কুলছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তার অভিভাবক রাত দেড়টায় কৌশলে থানায় পৌঁছেন।
সোমবার দুপুরে সহকারী পুলিশ সুপার তাহিরপুর (সার্কেল) মো. বাবুল আক্তার বলেন, থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।