মেসি ম্যাজিক দেখলো নাপোলি
স্পোর্টস ডেস্ক
দ্বিতীয় লেগের আগে নাপোলি কোচ গাত্তুসো বলেছিলেন, ‘মেসিকে কেবল স্বপ্নেই মার্ক করা সম্ভব’- তার কথারই মান রাখলেন লিওনেল মেসি। তারই চোখধাঁধানো দুইটি গোলসহ ৩-১ ব্যবধানে নাপোলিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে পৌঁছে গেলো স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা।
জয়টা বড় স্বস্তি হয়ে এসেছে বার্সার জন্য। লা লিগায় দুঃসহ মৌসুম শেষে নাপোলির বিপক্ষে বার্সাকে নিয়ে শঙ্কা ছিল। প্রথম লেগের ১-১ ফলও খুব একটা উৎসাহ যোগাতে পারছিল না। সে হিসেবে ৩-১ গোলের জয়টা বার্সা চাইলে আত্মবিশ্বাসের পুঁজি হিসেবে দেখতে পারে। এবার বার্সা রওয়ানা দেবে লিসবনের উদ্দেশ্যে, কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ।
ন্যু ক্যাম্পে বার্সাকে চমকে দিয়ে শুরুটা দারুণ করেছিল নাপোলি। আগের লেগে গোল করা ড্রিস মার্টেনস ২ মিনিটের ভেতর এগিয়ে দিতে পারতেন নাপোলিকে। ভাগ্যক্রমে বক্সের ভেতর বল এসেছিল তার কাছে, ক্রস ভলিটা ঠিকঠাক পায়ে লাগেনি, গিয়ে লেগেছে বারপোস্টে।
তবে ১০ মিনিটে ইভান রাকিটিচের কর্নার থেকে বার্সার পক্ষে প্রথম গোলটি করেন ক্লেমেন্ত ল্যাংলেট।
২৩তম মিনিটে চোখ ধাঁধানো গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। সুয়ারেজের ক্রস ধরে ডি-বক্সে ঢোকার সময় নাপোলির তিন ডিফেন্ডার তাকে ঘিরে ফেলেছিলেন। এগোতে নিয়ে একবার পড়ে গেলেও ফের বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এরপর শরীরের ভারসাম্য হারানোর আগে বাঁ পায়ে কোণাকুণি শট করেন তিনি। দূরের পোস্ট দিয়ে বল পৌঁছায় জালে।
চলতি আসরে এটি মেসির তৃতীয় গোল। ক্যাম্প ন্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের শেষ ছয় ম্যাচে ১২টি গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন বার্সা অধিনায়ক। রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা গোল করেছেন নয়টি, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও তিনটি।
সাত মিনিট পর আবারও লক্ষ্যভেদ করেছিলেন মেসি। কিন্তু ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের ক্রস বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার সময় বল তার হাতে লেগেছিল। পরবর্তীতে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল বাতিল করেন রেফারি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দুই দল পায় একটি করে পেনাল্টি। প্রথম মিনিটে সফল স্পট কিকে বল জালে জড়ান উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার সুয়ারেজ। কালিদু কোলিবালি মেসিকে ফাউল করায় ভিএআরের মাধ্যমে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল।
পঞ্চম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-১ করেন ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড ইনসিনিয়ে। মার্টেন্সকে বার্সার রাকিতিচ ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয়ার্ধে বার্সা খোলসে বন্দি হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে তাদের রক্ষণে চাপ তৈরি করে নাপোলি। কিন্তু অনেকগুলো আক্রমণ করেও গোল পায়নি তারা। ৮১তম মিনিটে বদলি স্ট্রাইকার আর্কাদিউস মিলিক দারুণ হেডে জাল খুঁজে নিলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি।