পিতার পরিচিতজনদের খুঁজছেন সোহেল চৌধুরী কন্যা
সময় সিলেট ডট কম
বিনোদন ডেস্ক ::
সোহেল চৌধুরী ও দিতি বাংলাদেশের এক সময়ের জনপ্রিয় তারকা নায়ক-নায়িকা ছিলেন। এই জনপ্রিয় তারকা নায়ক-নায়িকার মধ্যে একটা সময় অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল।
১৯৮৬ সালে সোহেল চৌধুরী সহ-অভিনেত্রী দিতির সঙ্গে ঘর বাঁধেন। লামিয়া চৌধুরী ও দীপ্ত চৌধুরী নামে এ দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে এ তারকা দম্পতির বিচ্ছেদ ঘটে। তারপর দিতির কাছে বড় হতে থাকে লামিয়া ও দীপ্ত।
তবে এবার তাদের এক কন্যা লামিয়া একটি তথ্য জানতে চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ইতিমধ্যে এই স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়া ফেলেছে।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মাস দুয়েক পরেই এ অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকী।
বাবার জন্মদিন উপলক্ষে কন্যা লামিয়া চৌধুরী কেক তৈরির পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু কী ধরনের কেক বাবা সোহেল চৌধুরী পছন্দ করতেন তিনি জানেন না। এ কারণে যারা সোহেল চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন তাদের খুঁজছেন লামিয়া।
লামিয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি এমন কাউকে খুঁজছি যে আমার বাবাকে জানতেন। তার জন্মদিন আসছে। তাকে স্মরণ করে আমি একটি কেক তৈরি করতে চাই। যার স্বাদ ব্যক্তিগতভাবে নিতে চাই। কিন্তু বাবা মিষ্টি জাতীয় জিনিস পছন্দ করতেন কি করতেন না সে বিষয়ে কিছুই জানি না।’
বাবার সঙ্গে দুটি স্মৃতি উল্লেখ করে লামিয়া আরো লিখেছেন, ‘বাবার সঙ্গে আমার মিষ্টি জাতীয় খাবারের দুটি স্মৃতি রয়েছে। একটি হল যখন বাবা আমাকে তার বন্ধুর বাসায় নিয়ে যেতেন, তখন এক গ্লাস সবুজ জুস পান করতে দিতেন। আরেকটি হলো, স্কুল শেষে যখন তার বাসায় গিয়েছি তখন হার্শির চকোলেট সিরাপ, স্ট্রবেরি সিরাপের সঙ্গে ভ্যানিলা আইসক্রিম খেতে দিতেন। সত্যি বলতে হার্শের সিরাপ দিয়ে কেক বানাতে চাই না।’
সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে লামিয়া লিখেছেন,‘আপনি যদি তাকে (সোহেল চৌধুরী) ব্যক্তিগতভাবে জানেন। তার সঙ্গে ভ্রমণ করে থাকেন, একসঙ্গে খেয়ে থাকেন, সময় কাটিয়ে থাকেন, তিনি যা খেতে পছন্দ করতেন তার কোনো স্মৃতি যদি থাকে তবে দয়া করে আমাকে জানান। আমি জানি তার অনেক বন্ধু এবং পরিচিতজন আমাকে অনুসরণ করেন। মাঝে মাঝে তার সম্পর্কে মজাদার তথ্য দিয়ে থাকেন। এছাড়া আত্মীয়-স্বজন যারা আমার তালিকায় রয়েছেন তারাও জানাতে পারেন। আমাকে সহযোগিতা করুন।’