৫ গোলের উড়ন্ত সূচনা বার্সার
সময় সিলেট ডট কম
স্পোর্টস ডেস্ক ::
রোনাল্ড কোম্যানের অধীনে ২০২০/২১ মৌসুমে ফেরেঙ্কভারোসের বিপক্ষে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে বার্সেলোনা। আর প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে কাতালান ক্লাবটি।
লিওনেল মেসি, আনসু ফাতি ও ফিলিপ কুতিনহোদের স্কোরশিটে নাম লেখানোয় বড় জয় পায় বার্সেলোনা। বার্সেলোনার ডাগ আউটে রোনাল্ড কোম্যানের অভিষেক ম্যাচটি শিষ্যরা ৫-১ গোলের জয় উপহার দিল।
মেসির আলো ছড়ানোর ম্যাচে গতবারের ক্ষত ভুলে বড় জয়ে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ মিশন শুরু করেছে বার্সেলোনা। পেনাল্টি থেকে লিওনেল মেসির গোলে শুরু, এরপর আনসু ফাতি, ফিলিপে কুতিনহো, পেদ্রি, উসমান দেম্বেলেরা একে একে বল জালে পাঠিয়েছেন।
ঘরের মাঠে স্বাচ্ছন্দ্যেই হাঙ্গেরির ক্লাব ফেরেঙ্কভারোসকে কুপোকাত করেছে কাতালানরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে জেরার্ড পিকে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ায় বড় জয়েও পুরোপুরি স্বস্তিও পায়নি বার্সেলোনা।
দশম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মেতেছিলেন ফেরেন্সভারোসের এনগুয়েন। কিন্তু গোল মেলেনি, মাঝমাঠে বল রিসিভের সময় অফসাইডে ছিলেন তিনি। ১০ মিনিট পর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ইসায়েল দা সিলভার বুলেট গতির শট পোস্টে লাগলে হতাশা বাড়ে দলটির।
এর মাঝে ১৭তম মিনিটে মেসির ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট রুখে দেন গোলরক্ষক। ২৭তম মিনিটে অধিনায়কের সফল স্পট কিকেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
৪২তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফাতি। ফ্রেংকি ডি ইয়ংকে ব্যাকপাস দিয়ে ছোট ডি-বক্সের মুখে ছুটে যান স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে দারুণ পাসিং ফুটবলে সাজানো আক্রমণে ব্যবধান আরও বাড়ায় বার্সেলোনা। ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ঘিরে থাকা ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে ফাতিকে বল বাড়ান মেসি। সময় নষ্ট না করে সাইড ফুট পাসে বাঁ দিকে বাড়ান প্রতিযোগিতার সর্বকণিষ্ঠ গোলদাতা। আর প্রথম ছোঁয়ায় নিচু শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ধারে বায়ার্ন মিউনিখে খেলে ফেরা কুতিনহো।
৭০তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান কমান ইউক্রেনের মিডফিল্ডার খারাতিন। ডি-বক্সে এনগুয়েনকে ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকে ফাউল করায় পেনাল্টিটি পায় সফরকারীরা। লাল কার্ডও দেখেন পিকে; সিদ্ধান্তটি নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠতে পারে।
রক্ষণের মূল সেনা না থাকলেও জয় নিয়ে ভাবতে হয়নি বার্সেলোনাকে। ৮২তম মিনিটে বাইলাইন থেকে দেম্বেলের কাটব্যাক ফাঁকায় পেয়ে নিচু শটে স্কোরলাইন ৪-১ করেন ফাতির বদলি নামা পেদ্রি।
আর ৮৯তম মিনিটে হাঙ্গেরির দলটির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন দেম্বেলে। ডি-বক্সে মেসির ছোট পাস পেয়ে জোরালো শটে গোলটি করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
পিকের লাল কার্ড এই ম্যাচের ফলে তেমন কোনো প্রভাব না ফেললেও বার্সেলোনার জন্য তা যথেষ্ট দুর্ভাবনার কারণ হতে পারে। আগামী ২৮ অক্টোবর গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় ম্যাচে জুভেন্টাসের বিপক্ষে অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডারকে পাবে না পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
এই ম্যাচে গোল করার মাধ্যমে আরও একটু নতুন রেকর্ড গড়েছেন মেসি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টানা ১৬ মৌসুমে গোল করার কীর্তিও গড়া হয়েছে তার। মেসি ভাগ বসিয়েছেন রায়ান গিগসের রেকর্ডে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে একটানা এতোগুলো মৌসুম গোল করার রেকর্ড নেই আর কারও।