বিয়ানীবাজারে কে এই পাগল?
সময় সিলেট ডট কম
স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের কাছেই স্যানেটারী কার্যালয়। এর সামনেই প্রায় ৭-৮মাস থেকে অবস্থান করছিলো ভবঘুরে এক ব্যক্তি। গভীর রাতেও তাকে রাস্তার পাশে বসে অথবা শুয়ে থাকতে দেখা যেতো। চুল-দাঁড়ি কখনো কাটেননি। রোদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে দিনরাত কাটালেও কারো ক্ষতি করেনি। কখনও কারো কাছে হাতও পাতেনি কথিত ওই পাগল। এমন আচরণে স্থানীয় অনেকেই তাকে খাবার-দাবার কিনে দিতেন। কেউ আবার টাকা-পয়সাও দিতেন।
এ রকমই একজন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু নাসের পিন্টু। তিনিও প্রায়ই কথিত এই পাগলকে খাবার-টাকা পয়সা তুলে দিতেন। গত ১৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টার দিকে পিন্টু ওই সড়ক দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কথিত ওই পাগলকে আবার খাবার দিতে গেলে বাধে বিপত্তি। ওই ব্যক্তি গলায় ‘দা’ ধরে তাকে প্রাণে খুন করার চেষ্টা চালায়। এ সময় এ রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরতে যাওয়া অপর পথচারীরা তখন এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন। তখন বিক্ষুদ্ধ পথচারীরা ওই ব্যক্তিকে ঘিরে ধরে পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি করে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা, দা, ছুরি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করলেও তাকে আটক করেনি। এরপর রাত ৩টা থেকে কথিত ওই পাগল ব্যক্তিকে আরো পাওয়া যায়নি। ভবঘুরে ওই ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়ায় এ ঘটনার রহস্য আরো ঘনিভূত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ওই ব্যক্তির কাছে থাকা সচল মোবাইল ফোনটি কোথা থেকে এলো। ওই মোবাইল ফোনে চার্জ দেয়া হয় কি করে, কার সাথে-কখন মোবাইলে কথা বলতো ওই ব্যক্তি।
আবু নাসের পিন্টু জানান, আমি প্রায়ই তাকে টাকা-পয়সা দেই। ওইদিনও তাকে নতুন একটি লুঙ্গি এনে দেয়ার পর সে দা নিয়ে আমাকে খুন করার চেষ্টা করে। তার কাছে কাভারসহ ছুরি পাওয়া গেছে।
পিন্টু বলেন, ওই ব্যক্তি ভারতীয় কেরালা ভাষায় কথা বলে। তার আচরণ রহস্যঘেরা। মূলত: আমাকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে সে। ওই ঘটনার পর রাত থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে। হয়তো এ রহস্য আর জানা হবেনা কখনো, এমনটি মনে করেন ঘটনার শিকার আবু নাসের পিন্টু।