১৩ আসরের ৫টি জিতল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
সময় সিলেট ডট কম
মহামারি করোনাকালীন ফাইনালে মুখোমুখি ১২টি আসরের মধ্যে চারবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এবং এবারই প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা দিল্লি ক্যাপিট্যালস। কিন্তু দিল্লির জন্য আইপিএল শিরোপা হয়ে রইল অধরা; আর এই শিরোপাকে যেন নিজস্ব সম্পত্তিই বানিয়ে ফেলেছে মুম্বাই। মোট ১৩ আসরের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জিতে নিল দলটি।
দুবাইয়ে এবারের ফাইনালে দিল্লিকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতল রোহিত শর্মার দল। ট্রেন্ট বোল্ট, রোহিত শর্মাদের সামনে পাত্তাই পায়নি শ্রেয়াস আইয়ারের দল।
ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ও উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্তের ফিফটিতে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি দিল্লি। জবাবে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে ৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে মুম্বাই।
রোহিত শর্মার ৫১ বলে ৬৮ রানের ইনিংসের কাছে পর্যুদস্ত হয়ে শিরোপাটা শেষ পর্যন্ত শুধু দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো দিল্লিকে। অন্যদিকে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে মুম্বাইকে আবারও সাফল্য এনে দিলেন রোহিত। ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ইনিংসটি সাজান তিনি।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক শ্রেয়াস। কিন্তু প্রথম বলেই ধাক্কা খায় দলটি। ট্রেন্ট বোল্টের লাফিয়ে ওঠা প্রথম বলে উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন স্টয়নিস। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরিয়ে দেন অজিঙ্কা রাহানেকে ফেরান বোল্ট। পাঁচ বল পর অফ স্পিনার জয়ন্ত যাদব যখন মৌসুমে দিল্লির সেরা ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ানকে বোল্ড করে দিলেন, ২২ রানে ৩ উইকেট নেই দিল্লির।
আইয়ার দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে। প্রথমে ঋষভ পন্তকে নিয়ে ১১.৩ ওভারে গড়লেন ৯৬ রানের জুটি। ৩৮ বলে ৫৬ রান করে পন্ত বিদায় নিলেও আইয়ার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬৫ রানে। দিল্লি অধিনায়কের ৫০ বলের ইনিংসটি সাজানো ৬ চার ও ২ ছক্কায়। মুম্বাইয়ের হয়ে বোল্ট ৩০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২৯ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন নাথান কোল্টার-নাইল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ২৫ বলে ৪৫ রান যোগ করেন রোহিত ও কক। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে আউট হওয়ার আগে ৩ চার ও ১ ছয়ের মারে ১২ বলে ২০ রান করেন কক। এরপর সূর্যকুমার যাদবের (২০ বলে ১৯) সঙ্গে ৪৫ রান এবং তৃতীয় উইকেটে ইশান কিষানের সঙ্গে গড়েন আরও ৪৭ রানের জুটি।
১৬.২ ওভারে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ললিত যাদবের দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হন রোহিত। মুম্বাই তখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে। জয়ের জন্য ১ রানের দূরত্বে থাকতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হার্দিক। কিন্তু ইশান ১৯ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে ১৮.৪ ওভারের মধ্যে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। দিল্লির হয়ে ১টি করে উইকেট কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্তিয়ে ও মার্কাস স্টয়নিসের।