দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ছাত্র-জনতার সমাবেশে লোকে লোকারণ্য
সময় সিলেট ডট কম
স্টাফ রিপোর্টার :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান এমপি বলেছেন- আমি বেঁচে থাকলে সুনামগঞ্জের উন্নয়নের কোন কমতি থাকবে না। আমার কাছে সব সমান। আমি বিশেষ কোন গোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে উন্নয়ন করছি না।
তিনি বলেন- আমি মাননীয় প্রধামন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই, উনি আমাদের হাওরের উন্নয়নের জন্য যা প্রয়োজন তা দিচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন যেসব জেলা পিছিয়ে পড়া সেসব জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবেন উনি উনার কথা রেখেছেন। আমাদের সুনামগঞ্জের মানুষের কথা চিন্তা করে একটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ই নয় সুনামগঞ্জের জন্য আরও বড় বড় মেগা প্রকল্প অনুমোদন হচ্ছে। সুনামগঞ্জ থেকে শান্তিগঞ্জ পর্যন্ত কোন খালি জায়গা থাকবে না। সব জায়গা উন্নয়নে পরিপূর্ণ করা হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন- বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না। ইনশাআল্লাহ সকল বিরোধিতা প্রতিহত করে সুনামগঞ্জে বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ হবেই হবে৷ কাজেই উন্নয়নের বিরোধিতা না করে আমাদের উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নয়নের পক্ষে থাকা।
বুধবার(১১ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ মান্নান চত্বরে সুনামগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ, সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট ও সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও শিক্ষামন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রজনতার আনন্দ মিছিল ও মহা-সমাবেশে টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও সাবেক জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাস্টার আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপনের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, সদস্য রেজাউল আলম নিক্কু, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আব্দুল হেকিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী তহুর আলী, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য জহিরুল ইসলাম জহুর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাছিত সুজন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রাণী তালুকদার, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুজন, জেলা ছাত্রীলীগের সাবেক সভাপতি ফজলে রাব্বী স্মরন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রয়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তালুকদার সহ প্রমূখ।
এসময় জেলা কাজী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, প্রচার সম্পাদক কাজী নুরুল আজিজ চৌধুরী ও উপজেলা সমিতি সভাপতি কাজী আইয়ূব আলীসহ নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছমির উদ্দীন সালেহ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক সহ নেতৃবৃন্দ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার, রফিক খান, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ মিয়া, পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ আমীন, পশ্চিমপাগলা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক, পুর্ব পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, পশ্চিমবীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, পুর্ববীরগাও ইউপি চেয়ারম্যান নুর কালাম, দর্গাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মনির উদ্দীন, শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতু, উপজেলা কৃষকলীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল গনি ভান্ডারী, যুগ্ম-আহবায়ক মাজহারুল ইসলাম মইনুল, জেলা ও উপজেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষক সমতির নেতৃবৃন্দ, উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, মটর শ্রমিকলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, প্রজন্মলীগ, জেলার ১১ উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলবৃন্দ, ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার আপামর জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আনন্দ মিছিল ও কৃতজ্ঞতা সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল সহকারে শান্তিগঞ্জ বাজারে সমাবেশ স্থলে জড়ো হতে থাকেন ছাত্র-জনতা ও আপামর জনসাধারণ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে আসা মানুষের পদভারে জনসমাবেশ বিশাল জনসমুদ্রে পরিনত হয়। এসময় পুরো শান্তিগঞ্জ এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষের মুখে উচ্চারিত হতে থাকে প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীকে অভিনন্দনের নানা স্লোগান।
উক্ত সমাবেশ থেকে উপস্থিত হাজার হাজার জনতা তাদের ভালোবাসার খুদ্র প্রয়াস হিসেবে শান্তিগঞ্জ বাজারের চত্বরকে তাদের প্রিয় নেতা, হাওরাঞ্চলের উন্নয়নের রুপকার, মাটি ও মানুষের নেতা হাওররত্ন আলহাজ্ব এম এ মান্নান চত্বর হিসেবে ঘোষণা দেন। সমাবেশ থেকে আরও ঘোষণা আসে অতি শীঘ্রই এই চত্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ম্যুরাল স্থাপণ করা হবে।