মনে হয়নি বিদেশি অভিনেতার সঙ্গে কাজ করছি : ববিতা
বিনোদন ডেস্ক
অক্টোবরের শুরু থেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সে খবরে খুবই কষ্টে ছিলেন ঢাকার রূপালি জগতের অন্যতম নক্ষত্র ববিতা। প্রার্থনায় রেখেছিলেন সহশিল্পীকে।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এ নায়িকা অভিনয় করেছিলেন সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত সিনেমা ‘অশনি সংকেত’-এ, বিপরীতে ছিলেন সৌমিত্র।
রবিবার সৌমিত্রর মৃত্যুর খবরে বিমূঢ় হয়ে পড়েন ববিতা। এর পর নিজেকে সামলে নিয়ে স্মৃতিচারণ ও মূল্যায়ন করেন।
ববিতার মতে, দেশ দিয়ে সৌমিত্রকে ভাগ করা যাবে না। কেন না শুধু কলকাতার বাংলা সিনেমা নয়, পুরো বাংলা সিনেমার অভিভাবক ছিলেন তিনি।
সৌমিত্রকে অভিনয় জগতের বিশাল এক বটবৃক্ষ মনে করেন ববিতা— “যার তলায় বর্তমান বাংলা সিনেমার জগৎ বিরাজ করছে।”
ববিতা জানান, সৌমিত্রর সঙ্গে একটিমাত্র ছবিতে কাজ করলেও অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে।
তিনি বলেন, “খুব অল্প বয়সে তার সঙ্গে এই সিনেমাটিতে অভিনয় করতে গিয়েছিলাম। এত বড় একজন অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করছি। শুরুতে খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম। না জানি কেমন তিনি! কিন্তু দেখলাম উনি একজন মাটির মানুষ।”
“এত আপন করে নিয়েছিলেন যে আমার মোটেও মনে হয়নি আমি একজন বিদেশি অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করছি”, যোগ করলেন ববিতা।
৬ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এর পরের ৪০ দিন একের পর এক জটিলতার সঙ্গে লড়েছেন তিনি। শনিবার নাগাদ চিকিৎসকেরা সব আশা ছেড়ে দেন।
সৌমিত্রর পরিবারের আদি বাড়ি ছিল বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কাছে কয়া গ্রামে। তিনি ১৯৩৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
তার উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে— অপুর সংসার, ক্ষুধিত পাষাণ, দেবী, স্বরলিপি, তিনকন্যা, পুনশ্চ, অতল জলের আহ্বান, অভিযান, বর্ণালী, প্রতিনিধি, চারুলতা, আকাশকুসুম, মনিহার, হঠাৎ দেখা, অজানা শপথ, অরণ্যের দিনরাত্রি, বসন্ত বিলাপ, অশনি সংকেত, দত্তা, জয় বাবা ফেলুনাথ, দেবদাস, গণদেবতা ও হীরক রাজার দেশে।