সিলেটে তীব্র শীত অনুভূত : সতর্ক থাকার পরামর্শ
স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে শীতের প্রকোপ হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একই ভাবে শীতে কাবু করে রেখেছে মানুষকে। সেই শীত করোনার মধ্যে মানুষের বাড়তি ভোগান্তি নিয়ে এসেছে। এ সময় চিকিৎসরা বেশী সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অভিভাবকদের।
চলতি মাসের শুরু থেকে একটু বেশি শীত পড়ছে। তবে গত দুদিন ধরে সেই শীত তীব্র আকার ধারণ করছে। গতকাল শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে শহর ছিলো কুয়াশাচ্ছন্ন। হালকা রোদ থাকলেও সাথে ছিলো শীতের আভাস। যা নবজাতক এবং শিশুদের জন্য বয়ে আনছে জ্বর সর্দিসহ শীতজনিত নানা রোগ। করোনাকালীন এমন শীতে শিশুদের ব্যাপারে অভিভাবকদের বেশি যত্নশীল হবারও তাগিদ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
ডা. তায়েফ আহমেদ চৌধুরী জানান- করোনার মধ্যে এমন শীতে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের বেলায় অভিভাবকরা বাড়তি যত্ন নিতে হবে।
তবে শহরের তুলনায় অবশ্য গ্রামে শীত বেশি পড়ছে। সারারাত শিশির পরার পর সকালের বেশ কিছু সময় পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় চারদিক আচ্ছন্ন থাকে। শীত বেড়ে যাওয়ায় অনেকে বিকেল থেকেই শীতবস্ত্র পড়ছেন। সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা থেকে সংবাদদাতারা জানিয়েছেন- গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার সাথে বাড়ছে শীত। গতকাল শ্রীমঙ্গলে ছিলো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্র ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ মো. আনিসুর রহমান জানান- উপজেলা জুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীত বেড়েছে।
কৃষকরা বলছেন- বেশি শীত থাকায় খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে তারা শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। মহাসড়কগুলোতে সকালে ঘন কুয়াশায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বাস-ট্রাক, ট্রেনসহ যানবাহন। তবে শীত বাড়ায় গরম কাপড়ের অভাবে বেশি কষ্টে রয়েছে খেটে খাওয়া অভাবী মানুষ।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়- গতকাল শনিবার সিলেটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।