সুনামগঞ্জ থানায় বাগান ও সবজি চাষ : বদলে গেছে পরিবেশ
বজলুর রহমান :
বজলুর রহমান (সদর) সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে থানার সামনে ১৭ শতক পতিত জমিটুকু পতিত থাকলেও স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ ৪৯ বছরেও এই থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করে গেছেন তারা এই পতিত জাগয়াটুকুকে কাজে লাগাতে পারেননি।
দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে কেউ কোন সময় ফুল ফল কিংবা সবজি চাষে উদ্যোগী হননি, রক্ষণাবেক্ষন কিংবা পরিচর্যার জন্য এগিয়ে আসেননি। কিন্তু বর্তমানে এই থানার দাযিত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মো.শহিদুর রহমান যোগদানের পর থেকে এই পতিত জমিটুকুর চেহারা পাল্টে গেছে। থানার ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে শীতকালীন নানান ধরনের ফুল ফল ও সবজি’র মহারোহ। গাছে গাছে বিভিন্ন ধরনের ফুলের মৌ মৌ গন্ধ আর সবজি গাছে সবজি আসতে শুরু করায় পাল্টে গেছে থানার চারপাশের এলাকা।
ওসি শহিদুর ব্যক্তি উদ্যোগে নিজের অর্থ ব্যয় করে এই ১৭ শতক জমিতে টমেটো, সিম, মূলা, মিষ্টি লাউ, পানি লাউ, লেটুস পাতা, ভেন্ডি, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, বেগুন, শসাসহ হরেক রকমের সবজি চাষ করেছেন।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সরেজমিনে থানায় গিয়ে কথা হয় থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুর রহমানের সাথে। তিনি জানান- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার ঘোষণা দিয়েছেন বাড়ির পাশে কিংবা বাড়ির আঙ্গিনায় এক ইঞ্চি জায়গাও যেন খালি কিংবা পতিত না থাকে। প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এই থানায় যোগদানের পর এই ১৭ শতক জায়গা পতিত না রেখে আবাদের চেষ্টা করেন। নিজ বেতনের প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ করে এই ১৭ শতক পতিত জায়গায় শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের ফুল, ফল ও সবজি চাষ শুরু করেছেন। তিনি মনে করেন এই ফুল, ফল ও সবজি চাষের কারণে এখানকার পরিবেশের ভারসাম্য সুরক্ষার পাশাপাশি এই ফরমালিনমুক্ত সবজিগুলো নিজে এবং থানার সকল অফিসার ভোগ করতে পারবেন।