বিয়ানীবাজারে অজ্ঞাত নারীর দগ্ধ লাশ নিয়ে রহস্য
বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা :
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার নির্জন হাওরে অজ্ঞাত নারীর দগ্ধ লাশ পাওয়া নিয়ে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় চলছে।
লাউতা ইউনিয়নের গজারাই এলাকার পশ্চিম হাওরে লাশটি কিভাবে এলো এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। এই নারী কে কিংবা এরকম নৃশংস ঘটনার সাথে কারা জড়িত এ নিয়ে চলছে জল্পনা।
গত বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে স্থানীয়রা দগ্ধ লাশটি দেখতে পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই উৎসুক শতশত জনতা ঘটনাস্থলে ভীড় করেন। লাশ ঘিরে কৌতুহলী মানুষের ভীড় থাকলেও এ নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। অজানা ভয় ও আতংক ছিল সবার মাঝে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে- লাশটি অজ্ঞাত একজন নারীর। মরদেহটির মুখ অক্ষত থাকলেও শরীরের ৭০ ভাগ অংশই দগ্ধ। মাথায় লম্বা চুল রয়েছে। অর্ধেক দগ্ধ পা দুটো আকারে ছোট। অজ্ঞাত নারীকে শ্বাসরুদ্ধ করে অন্যত্র হত্যা করে এই হাওরে এনে শুকনো খড় দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা এমনটি ধারণা করছে পুলিশ। খুনিরা লাশের পরিচয় গোপন রাখতে হত্যার পর এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী।
তবে কী অবস্থায় তাকে পুড়ানো হয়েছে সেটি ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন থেকে জানা যাবে বলছে পুলিশ।
বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের পাশাপাশি এ ঘটনার তদন্তে রয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের একটি তদন্ত দল। সন্ধ্যায় পিবিআইয়ের সেই তদন্ত দলটি ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান- প্রাথমিকভাবে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা লাশটি অজ্ঞাত কোন নারীর বলে পুলিশ অনেকটা নিশ্চিত হলেও ওই নারীর বয়স কত, তিনি বিবাহিত না অবিবাহিত সেটি শনাক্ত করা যায়নি। মুখ ও পায়ের কিছু অংশ ছাড়া সমস্ত শরীর পুড়ে যাওয়ায় লাশের পরিচয় শনাক্তে করতে হবে ডিএনএ টেস্ট। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।