বিশ্বনাথের চাউলধনীতে সংঘর্ষ চলাকালে বৃদ্ধের মৃত্যু : হত্যার অভিযোগ
সময় সংগ্রহ :
সিলেটের বিশ্বনাথে হাওরে পানি সেচকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ছরকুম আলী দয়াল (৭০) নামে এক বৃদ্ধ কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতননগর গ্রামের মৃত আছকর মামনের ছেলে।
বৃহষ্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের টিলাপাড়া গ্রামের সামনের চাউলধনী হাওরের কান্দি কাটার খাল নামক স্থানে চৈতননগর গ্রামের কৃষক আহমদ আলী ও টিলাপাড়া গ্রামের দিলোয়ার পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- নিহত ছরকুম আলী দয়ালের পুত্র পাবেল আহমদ (২৫), একই গ্রামের মৃত চান্দ আলীর পুত্র ইন্তাজ আলী (৪০), আহমদ আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর (২২) ও রেজাউল (১৮), অপর পক্ষের আসাম উদ্দিন (২৬) অন্যান্য আহতদের নাম জানা যায়নি।
তবে, ছরকুম আলী দয়ালের পরিবারের অভিযোগ- হাওরের ইজারাদার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে দিলোয়ারসহ তার লোকজনের মারধরে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। আর পুলিশ জানিয়েছে- তার (দয়াল) শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং সেখান থেকে দিলোয়ার পক্ষের ৩ জনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন- টিলাপাড়া গ্রামের তাইজ আলীর ছেলে আসাম উদ্দিন (২৬), মৃত মাহফুজ আলীর ছেলে হাফেজ সায়েদ আহমদ (২০) ও দশপাইকা গ্রামের মছদ্দর আলীর ছেলে হুশিয়ার আলী। আটক আসাম উদ্দিন গুরুতর আহত থাকায় পুলিশি হেফাজতে তাকে সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছরকুম আলী দয়ালের ভাতিজা আবদুল করিম বলেন- ‘পানি সেচ করতে চাউলধনী হাওরে গিয়েছিলেন আমার চাচা ছরকুম আলী দয়াল। সেখানে হাওরের ইজারাদার সাইফুলের নেতৃত্বে তার লোকজন চাচার উপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে হাওরের ইজারাদার সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান- ‘এই ঘটনার সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যে স্থানে পানি সেচ নিয়ে মারামারি হয়েছে, সেই স্থানের ইজারা অংশিদার টিলাপাড়া গ্রামের দিলোয়ার। সে স্থান সেই-ই দেখভাল করে। শোনেছি যে স্থানে মারামারি হয়েছে, সে স্থানে ছরকুম আলী দয়াল দাদা ছিলেন না এবং তিনি সংঘর্ষে মারা যাননি।’
থানার ওসি (তদন্ত) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী জানান- ‘ছরকুম আলী দয়ালের লাশ সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে। এখনো সুরতহাল করা হয়নি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। হাসপাতালে থাকা পুলিশ প্রতিনিধির বরাতে তিনি জানান- মৃতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তবে, সুরতহালের পর বিষয়টি পরিষ্কার বলা যাবে।’