৯৯৯-এ ফোন : হারিয়ে যাওয়া বৃদ্ধা মাকে ফিরে পেলেন ছেলে
বিশেষ সংবাদদাতা :
৯৯৯ এ ফোন করে হারিয়ে যাওয়া ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধা মাকে ছেলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে সুনামগঞ্জ সদর থানার একটি পুলিশ দল উপজেলার কুরবান নগর ইউনিয়নের নতুন ব্রাক্ষণগাঁও গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথামিক চিকিৎসা শেষে ছেলে কেনু মিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
হারিয়ে যাওয়া বৃদ্ধা সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের মুয়াকোরা গ্রামর মৃত কিতাব আলী’র স্ত্রী হামেদা খাতুন (৭২)।
সুনামগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা রাজিব সেন জানান- আমি শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে ৮টা নাগাদ আমার গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষণগাঁও এ বাড়ির সড়কের পাশে হাঁটার জন্য বের হই এবং সড়কে একজন বৃদ্ধা নারীকে মাটিতে শুয়া অবস্থায় দেখতে পাই। বিষয়টি দেখে খুব খারাপ লাগে। আমি উনার সাথে কথা বলি তবে উনি আমাকে তার নাম পরিচয় কিছুই বলেননি। পরবর্তীতে বাড়ির মানুষ ও আশেপাশের প্রতিবেশীর সাথে কথা বলে জানতে পারি ২দিন ধরে তিনি এখানেই থাকছেন। তাকে খাবার তারাই দিচ্ছেন ও শীত নিবারণের জন্য একটি শীতের কাপড় দিয়েছিলেন।
রাজিব বলেন- বৃদ্ধাকে কাপতে দেখে আমি ও দুই ছোটভাই মিলে শীত নিবারণের জন্য টুপি ও চাদরে ব্যবস্থা করি এবং শুকনা জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করে একটি প্যারাসিটামল খাইয়ে বাসায় চলে আসি। পরবর্তীতে আমি ৯৯৯ এ ফোন দেই এবং তাদের পুরো ঘটনা খুলে বলার পর সুনামগঞ্জ সদর থানার দায়িত্বরত অফিসারের সাথে আমাকে কথা বলিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা এখন না এসে শনিবার সকালে আসতে বলি। পরবর্তীতে সকালে আবারও ৯৯৯ এ ফোন করে পুনরায় ঘটনাটি বললে তারা আমাকে সরাসরি সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি সহিদুর রহমানের সাথে কথা বলিয়ে দেন। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নারীর সাথে কথা বললে তিনি তার স্বামী, ছেলের নাম ও ঠিকানা জানান এবং পুলিশ স্থানীয় এক মেম্বারের সহায়তায় বৃদ্ধা মহিলার ছেলেকে খুঁজে পান।
সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই মো. হাবিব বলেন- ৯৯৯ এর মাধ্যমে আমরা বিষয়টি জানতে পারি, পরবর্তীতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধা মায়ের সাথে কথা বলি এবং তার কথা মতো আমরা মেম্বারের সহায়তায় তার ছেলেকে খুঁজে পাই। পরে তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আসার জন্য বলি। আমরা বৃদ্ধা মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার ছেলের হাতে তুলে দেই।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সহিদুর রহমান জানান- আমরা ৯৯৯ এ ফোনের মাধ্যমে রাজিব সেন নামে একটি ছেলে আমাকে বিস্তারিত খুলে বললে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নেই। মহিলা ছেলেকে খুঁজে বের করে জানতে পারি বৃদ্ধা মাকে তারা ২-৩দিন খুঁজাখুঁজি করছেন এবং বিশ্বম্ভরপুর থানায়ও ডায়রী করেছিলেন। কিন্তু কোথাও কোন খোঁজ পাচ্ছিলেন না। আমরা বৃদ্ধা মায়ের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া ব্যবস্থা করি।