২৭ মার্চ হাসিনা-মোদি বৈঠক
সময় সিলেট ডেস্ক :
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের পরদিন ভারতীয় সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চারদিনের দিল্লি সফর শেষে রোববার ঢাকায় ফিরে এ তথ্য জানালেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর দুই প্রধানমন্ত্রী সব শেষ ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। এর আগে ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে বৈঠক হয় দুই সরকার প্রধানের। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বাংলাদেশ এবার ঘটা করে পালন করতে চায়। এ জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। সেদিন ঢাকা যাদেরকে চায়, তাদের একজন মোদি। আগামী ২৫ বা ২৬ মার্চ তার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
তার এই সফরের আরও দুটি উপলক্ষ্য আছে। প্রথমত. বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পালন, দ্বিতীয়ত. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ পালন।
মুজিববর্ষ উদ্বোধনের দিন গত বছরের ১৭ মার্চই মোদির দেশে আসার কথা ছিল। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসার পর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী জমকালো আয়োজনে পালনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
এই সফরের সূচি চূড়ান্ত করতে গত ২৮ জানুয়ারি দিল্লী যান পররাষ্ট্র সচিব। পরদিন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের সচিব মাসুদ মোমেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়- মোদির ঢাকা সফরের আগে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ে বৈঠক হবে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়ে আশার কথা বলেন দুই সচিব। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ট্যারিফ ও নন ট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা তুলে নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। দাবি জানানো হয়, বর্ডার কিলিং শূন্য কোটায় নামিয়ে আনার শীর্ষ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়- সড়ক ও রেলপথে ভারতের মাটি ব্যবহার করে নেপাল ও ভূটানে পণ্য আনা-নেয়ার সুযোগ দেয়ার। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল (বিআইএন) মোটর ভেহিকেল চুক্তি বাস্তবায়নেরও দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ।
কোভিড-১৯-এর কারণে দুই দেশের মধ্যে এপ্রিল থেকে চালু হওয়া এয়ার বাবল কার্যকর না হওয়ায় বাংলাদেশ দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়মিত ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া অভিন্ন ছয় নদীর পানি বণ্টন ও তিস্তা চুক্তির বিষয়েও তাগাদা দিয়েছে বাংলাদেশ।
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবকে ভারতীয় ঋণের টাকায় বাস্তবায়িত প্রকল্পের গতি আনতে অনুরোধ জানান পররাষ্ট্র সচিব।
মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটে স্থিতিশীলতা আনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেও ভূমিকা রাখারও অনুরোধ করেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সড়কে বাংলাদেশকে যুক্ত করার প্রস্তাবও তুলে ধরেন।