গোয়াইনঘাটে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায় : দেখার কেউ নেই!
সময় সংগ্রহ :
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর ও নন্দিরগাঁও এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে ৩৫টিরও বেশি অবৈধ ইট ভাটা। এসব ইট ভাটায় প্রতিদিন কেটে আনা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। ফসলি জমি থেকে এক্সেভেটর ও ড্রাম ট্রাক, ট্রাক্টর দিয়ে কেটে আনা হচ্ছে মাটি। মাটি কাটার ফলে জমির উর্বরতা হ্রাসসহ ফসলি জমি বিনষ্ট হচ্ছে।
গোয়াইনঘাটে সালুটিকর ও আশপাশের এলাকায় অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠলে এদের ব্যাপারে নিশ্চুপ পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা স্থানীয় প্রশাসন। ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটার পরিচালনা করতে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না এসব ইটভাটা মালিকরা। এলাকার কতিপয় মৌসুমী মাটি ব্যবসায়ীর সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলে ইট ভাটার মালিকগণ তাদের রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।
সালুটিকর পুলিশ ফাঁড়ি, গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসীর তরফে ফসলি জমি রক্ষায় অভিযোগ দেয়া হলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
তোয়াকুল ইউনিয়নের বীরকুলী গ্রামের স্কুল শিক্ষক ফখরুল ইসলাম জানান- জাঙ্গাইল গ্রামের হারুন মিয়া জোর পূর্বক রাতের আঁধারে দক্ষিণ জাঙ্গাইল মৌজায় আমার ফসলি জমি থেকে মাটি নিয়ে যায়। তার এই অবৈধ কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে আমি সালুটিকর ফাঁড়ির ইনচার্জকে অবহিত করি পাশাপাশি গোয়াইনঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়ের বরাবরে উক্ত মাটি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও প্রশাসন কিংবা পুলিশ বিভাগের কেউ আমার বিষয়টির ব্যাপারে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেননি।
এলাকার সচেতন মহল মনে করেন- বিষয়টি দ্রুত আইনগত উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যবস্থা না নিলে স্থানীয় কৃষি আবাদ বিনষ্টের পাশাপাশি পরিবেশ ভারসাম্যের আরও অবনতি ঘটবে।
এ ব্যাপারে কথা হলে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান জানান- অবৈধ ইট ভাটা এবং ফসলি জমি মাটির কাটার বিষয়টি অবহিত হয়েছি এবং আমাদের প্রশাসন তরফে অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।