শায়েস্তাগঞ্জে শীতের শাক-সবজিতে বাজার ভরপুর!
এস এ রহমান
এস এ রহমান, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বাজারগুলো শীতের সবজিতে ভরপুর। নানান বর্ণের ও স্বাদের শীতকালীন শাক-সবজিতে বাজারগুলো সেজেছে রঙিন সাজে। এলাকায় শাক-সবজির উৎপাদন এবং সরবরাহ বেশি থাকায় সকল প্রকার সবজির মূল্য সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে। কয়েক দিন ধরে শীত কিছুটা কম অনুভূত হলেও শীতের সবজির ফলন আশাতীত হয়েছে বলে জানালেন কৃষকরা। এলাকায় সবজির ফলন ভাল হওয়ায় বাজারে শীতকালীন সবজির মূল্য অনবরত হ্রাস পাচ্ছে।
উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার সরজমিনে ঘুরে এবং ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- বর্তমানে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের সবজির সরবরাহ রয়েছে প্রচুর পরিমানে। পৌর এলাকার দাউদনগর বাজারে কাঁচামালের মূল্য সপ্তাহের ব্যবধানে অনেক কমেছে। বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৭০/৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ডায়মন্ড নতুন আলু ২০ টাকা, বাঁধাকপি ১০ টাকা, ফুলকপি ১৫ টাকা, শীম ৪০ টাকা, করলা ৫০/৬০ টাকা পেঁয়াজ দেশি ৩০/৩৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, দেশী টমেটো ২০ টাকা, মূলা ২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও গাজর ৫০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লালশাক ২০, পুঁই শাক ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ বাজারের কাঁচামাল খুচরা বিক্রেতা সোহেল মিয়া জানান- এলাকায় সবজি উৎপাদন ও সরবরাহ বেশি। যে কারণে প্রতিদিন সবজির দাম হ্রাস পাচ্ছে। সরবরাহ ও আমদানি কমে গেলে সবজির বাজারদর বাড়তে পারে। এখন সবজির মূল্য সকলেরই নাগালের মধ্যে রয়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ ড্রাইভার বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী আহম্মদ বলেন- এখন এলাকার উৎপাদিত সবজি বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। এর পরও সবজির দাম কয়েক সপ্তাহ ধরেই কমতির দিকে। সব শেণির মানুষই এখন শীতকালীন সবজি কিনে খেতে পারছেন।
বাজারে আসা ক্রেতা কামাল হোসেন জানান- এখন শীতের সবজির মূল্য নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের মধ্যে রয়েছে। সব ধরণের মানুষজন এখন যার যার ইচ্ছে মতো সবজি কিনে খেতে পারছেন। আমরা চাই পুরু শীতকাল জুড়েই শীতের শাক-সবজির মূল্য এমনই থাকুক।