গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী বলেই দেশে ‘আল-জাজিরা’ বন্ধ হয়নি
স্টাফ রিপোর্টার :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন- আমরা গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, তাই হাইকোর্টের নির্দেশ পেলেই কেবল আল-জাজিরা’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাইকোর্ট যদি কোনো আদেশ দেন এটিকে বন্ধ করার জন্য, সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের আদেশ আমাদেরকে মানতে হবে।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর বাসায় সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে হাইকোর্ট তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিল আল জাজিরা’র রিপোর্টটা ইউটিউব এবং অন্যান্য চ্যানেল থেকে বাদ দেয়ার জন্য, কিন্তু এখনো তা কার্যকর হচ্ছে না কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন- আমরা চাইলে আল জাজিরা’র সম্প্রচার দেশে বন্ধ করতে পারতাম, অনেক দেশে বন্ধ করা হয়েছে এবং বন্ধ রয়েছে। এমনকি ভারতেও কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল। এখনো ৬-৭টি দেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ আছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেহেতু গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে তাই আমরা সেই উদ্যোগ নিইনি। তবে স্বাধীনতার যেমন দরকার, দায়িত্বশীলতারও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা মানে এই নয়, ভুল, মিথ্যা, পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, অপরের স্বাধীনতা হরণকারী সংবাদ পরিবেশন করা। এটা কোনভাবেই সমীচিন নয়। আল জাজিরার রিপোর্ট একটি মিথ্যা বানোয়াট, কিছু বিষয়কে কাট পেস্ট করে রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে।
করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিএনপি নেতারা অনেক ধরণের বিরোধীতা করে আসছিল, এখন তারাও ভ্যাকসিন নিচ্ছেন সাংবাদিকরা এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন- বিএনপি নেতারা করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক অপপ্রচার চালিয়েছেন, তারা প্রথমে বলেছেন সরকার ভ্যাকসিন সময়মতো আনতে পারবেনা, যখন সময়মতো চলে আসলো তখন বললেন এটি নিলে কোন কাজ হবে না।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন- নানা ধরণের প্রশ্ন তুলে, দায়িত্বহীন অনেক কথা বলে শেষপর্যন্ত বিএনপির অনেক নেতা করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং নেয়ার পক্ষে কথাও বলেছেন, সেজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। আমরা চাই তারা ভ্যাকসিন নিয়ে সুস্থ ও সবল থাকুক।
জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব প্রত্যাহার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন- মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের ভুমিকা আসলে কি ছিল সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরনে তিনি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তবে তার খেতাব বাতিলের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। এটা নিয়ে জামুকাতে আলোচনা হয়েছে মাত্র।