বিশ্বনাথে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে উদ্বোধন হলো স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ফুটবল টুর্নামেন্টে
স্পোর্টস রিপোর্টার :
মাঠে গড়ালো সিলেটের বিশ্বনাথের জানাইয়া মাঠে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ফটুবল টুর্নামেন্টের। শুক্রবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় বৃহৎ এ ফুটবল টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব পংকি খান।
উদ্বোধনী খেলা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি এবং পৌর প্রশাসক বর্ণালী পাল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন- খেলাধুলা মানুষের মন ও মননকে জাগ্রত করে। যুব সমাজকে মাদক ও অপরাধ থেকে দুরে রাখে। যদিও এই করোনাকালীন সময়ে এরকম বড় আয়োজনে ঝুঁকি রয়েছে। তাই করোনা সহনীয় পর্যায়ে আসলে উপজেলায় বেশি বেশি করে খেলাধুলার আয়োজন করা প্রয়োজন। এসময় জানাইয়া মাঠকে মিনি স্টেডিয়ামে রুপান্তরিত করার এলাকাবাসীর দাবিতে তিনি চেষ্ঠা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এর আগে উদ্বোধনী বক্তব্যে পংকি খান বলেন- বিশ্বনাথ উপজেলায় ফুটবলের স্বর্ণযুগ চলছে। আমাদের উপজেলার ফুটবলাররা বৃহত্তর সিলেট ও জাতীয় পর্যায়ে কৃতত্ব রেখে তারা উপজেলার সুনাম তুলে ধরছেন। করোনা মহামারির কারনে গত এক বছর আমাদের ফুটবলাররা খেলার মাঠে তাদের নৈপুন্য রাখতে পারেনি। দীঘ এই বিরতির পর এমন একটি সুন্দর টুর্ণামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে ফুটবলারদের ও দর্শকদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য তিনি পরিচালনা কমিটির সকলকে ধন্যবাদ জানান।
টূর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো. মকদ্দছ আলীর সভাপতিত্বে এবং টূর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আজিজ সুমনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিশ্বনাথ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. শামীম মূসা, ওসি তদন্ত রমাপ্রশাদ চক্রবর্তি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- প্রথম পুরুষ্কার দাতা যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুবের আহমদ খান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমির আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল জলিল জালাল, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নুর উদ্দিন প্রমুখ।
খেলায় ১-০ গোলের ব্যবধানে মোহামেডাম এফসিকে হারিয়ে উদ্বোধনী পুরুষ্কার ২১ ইঞ্চি এলইডি টিভি জিতে নেয় আলিশা এফসি বিশ্বনাথ। খেলায় ধারাভাষ্যের দায়িত্বে ছিলেন ধারাভাষ্যকার একেএম তুহেম ও মোহাম্মদ আলী লিটন।