২০৩০ সালের মধ্যে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে : সিলেটে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিয়ানীবাজার (সিলেট) সংবাদদাতা :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে পুরো দেশের চেহারা পাল্টে যাবে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেটের বিয়ানীবাজারের সীমান্তবর্তী শেওলা স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন- অতীতের সরকারের অপরিকল্পিত উন্নয়ন ভাবনা এবং প্রকল্পে লুটপাটের কারণে আমরা ক্রমশঃ পিছিয়ে যাচ্ছিলাম। এখন প্রতিটি প্রকল্প স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হওয়ায় উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরাণ্বিত হচ্ছে। দেশের মানুষের চাওয়া আমরা পূরণ করতে পেরেছি। মানুষ কি চায়, তা জানার জন্য আমরা ঘরে-ঘরে যাচ্ছি। গ্রামীণ উন্নয়নে প্রতিনিয়ত নতুন প্রকল্প গ্রহণ করছি।
খালিদ মাহমদু বলেন- রাজনীতি, উন্নয়ন, গণতন্ত্র একসাথে চালাতে হবে। যা চালকের আসনে থেকে পরিচালিত করছেন শেখ হাসিনা। সকল পর্যায় থেকে দূর্নীতি দূর করতে তিনি কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। দেশের মানুষ উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বিশ্বাস করে। তাই তারা আওয়ামী লীগকে বার বার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করছে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন- করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমেরিকা যখন ব্যর্থ হয়েছে, তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে আপনারা দেখেছেন। এ ব্যর্থতার কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। ইউরোপের দেশে দেশে তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের জনগণ মৃত্যুর মুখোমুখি হয়নি। বাংলাদেশের জনগণ যেন আগেভাগে করোনার ভ্যাকসিন পায় সেজন্য এক হাজার কোটি টাকা আগাম বরাদ্দ দিয়ে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেলা উপজেলায় করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় সফলতার পরিচয় দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতার কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন- শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে যখন জার্মানি ও ইতালি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তখন বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটাই মানবিক বাংলাদেশ।বাংলাদেশে অন্যান্যদের রাজনীতি যখন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি সেখানে সফলতার পরিচয় দিয়েছে। জাতীয় সংসদে যখন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ কোটি জনগণের নেতা। তখন আমরা গর্বিত হই। এ সত্য চাপিয়ে রাখা যাবে না। শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশে নয়; আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এক আলোকিত নাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত কাস্টমস কমিশনার রাশেদুল হাসান, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী মাহবুব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় ও বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আতাউর রহমান খান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১২৪ কোটি টাকা ব্যায়ে শেওলা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ রুপ দেয়া হচ্ছে। নৌ পরিবহণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। উদ্বোধন অনুষ্টানের পূর্বে প্রতিমন্ত্রী শেওলা বন্দর ঘুরে দেখেন।