ভার্থখলা জামেয়ার বার্ষিক সম্মেলনে বাবুনগরী : ‘এদেশে নাস্তিকদের ঠাঁই নেই’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
বাবুনগরী বলেন- ‘নাস্তিকেরা কোন ধর্ম মানে না। এদেশে মুসলিমদের সাথে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টানরা থাকতে পারবে। কিন্তু নাস্তিকেরা থাকতে পারবে না। আওয়ামীলীগ-বিএনপি সবাই ধর্ম মানে। ঈদের নামাজে আমরা সবাই এক কাতারে শামিল হই। পরস্পরে পরস্পরের সাথে আত্মীয়তাও করি। কিন্তু নাস্তিকদের সাথে আমাদের আস্তিকদের কোন সম্পর্ক নেই, আপস নেই।’ বিস্তারিত…
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বলেছেন- ‘আমাদের নবী সর্বশ্রেষ্ঠ। আমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত। আমাদের সংবিধান কোরআন। যারা এসব বিশ্বাস করে তারা আস্তিক। আর যারা বিশ্বাস করেনা তারা নাস্তিক। তারা আল্লাহকে বিশ্বাস করেনা। তাদের যুক্তি হলো আমরা আল্লাহকে দেখিনা, তাই আল্লাহকে বিশ্বাস করিনা। আমি প্রশ্ন করি, তোমরা আত্মাকে বিশ্বাস কর; অথচ তা দেখনা। তাহলে আত্মাকে বিশ্বাস করো কেন?’
বাবুনগরী বলেন- ‘নাস্তিকেরা কোন ধর্ম মানে না। এদেশে মুসলিমদের সাথে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টানরা থাকতে পারবে। কিন্তু নাস্তিকেরা থাকতে পারবে না। আওয়ামীলীগ-বিএনপি সবাই ধর্ম মানে। ঈদের নামাজে আমরা সবাই এক কাতারে শামিল হই। পরস্পরে পরস্পরের সাথে আত্মীয়তাও করি। কিন্তু নাস্তিকদের সাথে আমাদের আস্তিকদের কোন সম্পর্ক নেই, আপস নেই।’
তিনি আরো বলেন- ‘সারা জীবন হক কথা বলে যাবো। হক কথা বলতে গিয়ে যদি জীবনের ওপর হুমকি আসে, জেল-জুলুম আসে, ফাসিকাষ্টেও যদি ঝুলতে হয়-তবুও সত্য কথা বলতে পিছপা হবোনা।’ আল্লামা বাবুনগরী বলেন- এ বিশ্বে ইসলামই টিকে থাকবে। ইসলাম বিদ্বেষীরা নির্মূল হয়ে যাবে, যেভাবে ফেরাউন-নমরুদ নির্মূল হয়েছে।’
তিনি রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী জামেয়া নূরিয়া ইসলামিয়া ভার্থখলার দু’দিন ব্যাপী বার্ষিক ইসলামী মহা-সম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী বলেন- সত্য কখনও দমেনা। যত দমানোর চেষ্টা করা হয়, ততো তা ঝলসে উঠে। আবু জেহেল-আবু লাহাবরা সত্যকে ফুৎকারে নিভিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সত্যকে নিভাতে পারেনি। তারা জ্বলে ভষ্ম হয়েছে। আজ আলেমদের কন্ঠকে স্তব্ধ করে দেয়ার অপচেষ্টা চলছে। যারাই এ চেষ্টা করছে, তারাও আবু জেহেল-আবু লাহাবের পরিণতি ভোগ করবে।
হেফাজতের নায়েবে আমীর ও নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি মসজিদের খতীব মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেন- ‘ইসলাম প্রতিরোধ যুদ্ধের কথা বলে। অগ্রবর্তী জেহাদ ইসলামের ইতিহাসে নেই। মুসলমানরা ঠেকায় পড়ে যুদ্ধে জড়ায়। কোরআনে জেহাদ আছে, হাদীসেও আছে। সুতরাং যারা জেহাদ অস্বীকার করে, তারা কোরআন-হাদীস অস্বীকার করে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উপদেষ্টা ও জামেয়া ভার্থখলার প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওলানা শায়খ মজদুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ও জামেয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলয়াসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সমাপনী দিনে আরও বক্তব্য রাখেন- হেফাজতের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও জামেয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর-এর মহাপরিচালক শায়খ মাওলানা জিয়া উদ্দিন, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ শফিক উদ্দিন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসিমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাহার, মাওলানা মুফতী শিহাব উদ্দিন চট্টগ্রাম, ডা. আবু তাওসীফ, অধ্যাপক মাওলানা আবদুস সবুর, জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজির বাজার সিলেটের প্রিন্সিপাল মাওলানা সামিউর রহমান মুসা, মাওলানা নূরুল হক নবিগঞ্জী, রামধা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ইউসুফ খাদিমানী, হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, নূরুল ক্বোরআন মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আহমদ বিলাল, মাওলানা কারী সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, মাওলানা দিলওয়ার হোসাইন, মাওলানা মুখলিছুর রহমান ও মাওলানা আমজাদ হোসাইন প্রমুখ।