নাইজেরিয়ার স্কুল থেকে কয়েকশ ছাত্রীকে অপহরণ
আন্তর্জাতিক সময় :
নাইজেরিয়ার একটি স্কুল হোস্টেলের কয়েক’শ ছাত্রীকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় জামফারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
শিক্ষক ও অভিভাবকদের বরাতে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এ খবর দেয়। এক সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে আফ্রিকান দেশটিতে দ্বিতীয় বারের মতো গণঅপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
খবরে বলা হয়- শুক্রবার সকালের দিকে অনির্দিষ্টসংখ্যাক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে অস্ত্রধারী দস্যুরা। তবে এ ব্যাপারে কোনো বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাংবির নাম প্রকাশে এক শিক্ষক বলেন- বাকি শিক্ষার্থীদের মাথা গণনার পর তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর হিসাব মিলছে না।
এক অভিভাবক জানিয়েছেন- তার দুই মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছেন না। তাদের বয়স ১০ এবং ১৩।
তবে ঠিক কতসংখ্যক শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছেন এবং কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী সে বিষয়ে কিছু বলেননি জামফার রাজ্য সরকারের রাজ্য সরকারের একজন মুখপাত্র।
নাইজেরিয়ার উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দিন দিন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। গত সপ্তাহে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি আবাসিক স্কুলে হামলা চালিয়ে ৪২ জনকে অপহরণ করেছিল একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। অপহৃতদের ২৭ জনই ওই স্কুলের ছাত্র।
মধ্যরাতের ওই হামলা এবং অপহরণকাণ্ডের সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় এক শিক্ষার্থী। ঘটনার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অপহৃতদের মুক্তি মেলেনি। এই অপহরণের সঙ্গে কারা যুক্ত— তাও শনাক্ত করা যায়নি এখন পর্যন্ত।
আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ‘আল-শাবাব’ সক্রিয় রয়েছে নাইজেরিয়ায়। গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে অব্যাহতভাবে বেড়ে যাওয়া হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ ও সহিংসতার সঙ্গে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে বেশ কয়েকবার। এমনকি স্কুলের ছাত্রীদের অপহরণ করে বিক্রি করে দেওয়ার মতো অপরাধও সংঘটিত করেছে আল-শাবাব।
তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটিতে স্কুল শিক্ষার্থীদের অপহরণের যে দু’টি ঘটনা ঘটল- তার সঙ্গে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সরাসরি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। ঘটনার দায় স্বীকার করে আল-শাবাব বা অন্য কোনও সন্ত্রাসী বা জঙ্গিগোষ্ঠী এখন পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি।