এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ : মামলার শুনানি হয়নি
সময় সিলেট ডট কম
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে নববধূ তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার শুনানি হয়নি। আলোচিত এ ঘটনায় দুটো মামলার বিচারকার্য একই আদালতে ও একসঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনার যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছিলেন সে আদেশ এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেজন্য রোববার নির্ধারিত শুনানির দিন থাকলেও সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলাটির শুনানি হয়নি।
এর আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসামীদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় বাদীপক্ষের আইনজীবীদের ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক ইনাম চৌধুরী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ এলেই বিচার প্রক্রিয়া কার্যক্রম শুরু হবে
বাদীপক্ষের আইনজীবী প্যানেলের প্রধান শহীদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মহানগর দায়রা জজ আদালতে দণ্ডবিধি ২৫০ নম্বর মামলাটির শুনানির তারিখ ছিলো গত ১০ ফেব্রুয়ারী। তখন আমরা হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিষয়টি অবগত করলে আদালত মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখেন।
রোববার সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে একইসঙ্গে দুই মামলা চলার বিষয়ে অবগত করলে আদালত জানিয়েছেন একসঙ্গে একই ট্রাইব্যুনালে দুই মামলার বিচার কার্যক্রম চলার জন্য একটি রিকুজিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেছে। সেখান থেকে আদেশ আসার পরপরই মামলার কার্যক্রম শুরু হবে।
এডভোকেট শহীদুজ্জামান আরো বলেন, ছাত্রাবাসে তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের আগে তার স্বামীকে (মামলার বাদী) মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছিলো। এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে আরো একটি মামলা হয়। ধর্ষণ মামলার ৮ আসামী এই মামলার আসামী। এতে ধর্ষণ মামলার ৫১ জন সাক্ষীকেও সাক্ষী রাখা হয়েছে। একই ঘটনার পৃথক দুটি মামলা একই ট্রাইব্যুনালে চললে বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পাবেন। সেইসঙ্গে বিচারকাজ বিলম্বিত হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে নববধূ তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তারা হলো, ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম। এই ৮ জন আসামীই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।