সিলেট-৩ আসনে এমপি প্রার্থী হচ্ছেন হাজী তোফায়েল আহমদ
বিশেষ সংবাদদাতা
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, পল্লীবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক ও সিলেট জেলা পল্লীবন্ধু পরিষদের আহবায়ক হাজী তোফায়েল আহমদ সিলেট-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।
সরকার দলীয় এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শূন্য ঘোষিত এই আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসনটি শূন্য ঘোষণার পর থেকেই উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্রসহ প্রায় ৩ ডজন প্রার্থী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী হাজী তোফায়েল আহমদ।
আলাপকালে সম্ভাব্য সংসদসদস্য পদপ্রার্থী হাজী তোফায়েল আহমদ বলেন- নেতা বা নেতৃত্ব দেয়ার লক্ষ্যে নয়, জনগণের কাছে থেকে জনসেবা করাই আমার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। জনসেবাকে ইবাদত হিসেবে গ্রহণ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক প্রেসিডেন্ট পল্লীবন্ধু মরহুম হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এর আর্দশ লালন করে দীর্ঘদিন যাবৎ দলের পক্ষে ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। দল থেকে আমাকে মনোনয়ন দিলে সিলেট-৩ আসনে আমি নির্বাচন করবো।
তিনি বলেন- এই আসনে টানা ৩ বার জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম.এ মুকিত খান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। সিলেট-৩ আসন জাতীয় পার্টির দুর্গ। যা অতীতেও ছিলো, এখনো আছে। আমার বিশ্বাস, গণমানুষের প্রতীক লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করলে জনগণ আমাকে মূল্যায়ন করে তাদের খাদেম হিসেবে সেবা করার সুযোগ দিবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী হাজী তোফায়েল আহমদ প্রবাসে অবস্থান করলেও তার নামীয় ট্রাস্টের মাধ্যমে দীর্ঘ দিন ধরে সিলেট-৩ আসনের প্রত্যান্তাঞ্চলের বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সাহায্য-সহযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
সিলেট-৩ আসনটি সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা এবং বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ২৯৩জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লাখ ৬২ হাজার ৮৬৮ জন। আর নারী ভোটার ১লাখ ৫৯ হাজার ৪২৫ জন। তবে নির্বাচনের আগে যে তালিকা করা হবে, তাতে হালনাগাদজনিত ভোটার সংখ্যা কিছুটা বাড়তেও পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।