করোনাকালে বিলিয়নিয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ শতাংশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনাকালে বিশ্বে বিলিয়নিয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপক হারে। এই মুহূর্তে বিশ্বে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ২ হাজার ৭৫৫ জন। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩ লাখ ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। আগের বছরের তুলনায় এই সম্পদ বেড়েছে ৮ লাখ কোটি মার্কিন ডলার। মার্কিন বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস প্রকাশিত বিলিয়নিয়ারদের হালনাগাদ তালিকায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ফোর্বসের ৩৫তম বার্ষিক বিলিয়নিয়ারের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, করোনা মহামারির মধ্যেই বিশ্বে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় ২০২১ সালে বিশ্বে বিলিয়নিয়ার বেড়েছে ৬৬০ জন। এক বছরে এতজন এই শত কোটি ডলারের ক্লাবে এর আগে কখনো ঢুকতে পারেননি। এবার তালিকায় নতুন করে যুক্ত হওয়াদের মধ্যে ৪৯৩ জনই প্রথমবারের মতো বিলিয়নিয়ার হয়েছেন। অর্থাৎ বিশ্বে প্রতি ১৭ ঘণ্টায় একজন ব্যক্তি বিলিয়নিয়ার হয়েছেন।
মূলত শেয়ারবাজারের চাঙা অবস্থান ও ক্রিপ্টোকারেন্সির উচ্চমূল্য বিশ্বে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বলে জানিয়েছে ফোর্বস। দেশভিত্তিক হিসেবে সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার যুক্তরাষ্ট্রে, ৭২৪ জন। তালিকায় এরপরই রয়েছে চীন। দেশটিতে শতকোটি ডলারের মালিক ৬৯৮ জন। ভারতে এ সংখ্যা ১৪০ জন। জার্মানিতে ১৩৬ জন।
টানা চতুর্থবারের মতো তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোস। আমাজনের মালিক বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৭৭ বিলিয়ন ডলার। গত এক বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ৬৪ বিলিয়ন ডলার।
বেজোসের পর বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ১৫১ বিলিয়ন ডলার। ইলনের চেয়ে মাত্র এক বিলিয়ন ডলার কম নিয়ে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্সের ব্যবসায়ী বার্নার্ড আর্নল্ট ও পরিবার।
তালিকার দশম অবস্থানে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। ভারতীয় এ ধনকুবের মোট সম্পদ ৮৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের। এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি তিনি। গত এক বছরে এই দশ জনেরই সম্পদ আগের তুলনায় বেড়েছে।