জগন্নাথপুরে বোরোর বাম্পার ফলন
জগন্নাথপুর সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এবারো বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জমি ফলন দেখে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। বৃহস্পতিবার সরজমিনে বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা যায়, পাকা সোনালি ও আধাপাকা সবুজ ধান বাতাসে দুলছে। ধানের মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও আগাম জাতের আংশিক ধানকাটা শুরু হয়েছে। তবে এখনো পুরোপুরি ধানকাটা শুরু হয়নি। কৃষকরা জানান, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ধানকাটার ধুম পড়বে।
যদিও উপজেলাজুড়ে ধান কাটার মহোৎসব চলছে। জমির ধান গোলায় তুলতে কৃষকরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বড় কৃষকরা ধান কাটার অত্যাধুনিক হারভেষ্টার মেশিন সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মাঝারি ও বর্গা চাষিরা ধান কাটার শ্রমিক সংগ্রহ করছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইতোমধ্যে ধান কাটার শ্রমিকরা জগন্নাথপুরে আসতে শুরু করেছেন। তাদের সাথে কদর বেড়েছে স্থানীয় শ্রমিকদের। স্থানীয় হাট-বাজারে ধান কাটার কাস্তে ও কাটা ধান রাখার জন্য ত্রিপাল বিক্রির ধুম পড়েছে। সংগ্রহ করা হচ্ছে ধান মাড়াই মেশিন। ধান শুকানোর জন্য তৈরি করা হচ্ছে মাঠ ও খলা। ধান রাখতে তৈরি হচ্ছে গোলা ও আলাদা ঘর। সব মিলিয়ে জগন্নাথপুরে বোরো নিয়ে রীতিমতো ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক-কৃষাণীরা।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার সকল হাওরের ২০ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমি আবাদ করা হয়। জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরামর্শ, দিক-নির্দেশনা ও সরকারি সহায়তায় জমি চাষে আরো উদ্যোগী হন কৃষকরা। এবার সরকারিভাবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৮৪২ মেট্রিকটন ধান। তবে বাম্পার ফলনে সরকারী উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষকরা।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার জানান, এবারো জগন্নাথপুরে বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। গত কয়েকদিন ধরে আগাম জাতের কিছু জমির ধান কর্তন হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন পর ধান কাটার ধুম পড়বে।