১০ দল নয়, ১৪ দল নিয়ে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ
স্পোর্টস ডেস্ক :
ফুটবল বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা বাড়িয়ে ফিফা যেখানে বিশ্বায়নের পথে হাঁটছে, সেখানে উল্টো চিত্র ‘ভদ্রলোকের খেলা’ খ্যাত ক্রিকেটে। একসময় ১৪ দল নিয়ে হতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১০-এ। এ নিয়ে বিস্তর আলোচনার পর ফের দলের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
কিছু দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছিল যে ২০২৭ বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ১০ থেকে বেড়ে ফের ১৪ হতে পারে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৪ দল নিয়েই হয়েছে বিশ্বকাপ। ২০১৯ সালে প্রথমবারের মত ১০ দল নিয়ে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়।
১০ দলের বিশ্বকাপে অন্তত দুটি টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দলই খেলতে পারে না। গত আসরে খেলার সুযোগ পায়নি জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ড। দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজও অল্পের জন্য বাদ পড়েনি; বৃষ্টিভাগ্যে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ডাকওয়ার্থলুইস পদ্ধতিতে জিতে কোয়ালিফাই করে।
১০ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০২৩ সালেও থাকবে ১০ দলই। তবে ২০২৭ সালের বিশ্বকাপে আসবে বড় পরিবর্তন, বাড়বে দলের সংখ্যা। ১৪ দল নিয়ে হবে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
আলোচনায় ছিল ১৬ দলের বিশ্বকাপও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইসিসির নিতি নির্ধারকদের চাওয়া ১৪ দল নিয়েই হোক ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। যদিও এ নিয়ে এখনও চূড়ান্তভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
২০০৭ বিশ্বকাপে ছিল ১৬ দল। সেটি ছিল বিশ্বকাপের নবম আসর, ১৬ দল, ৫১ ম্যাচ নিয়ে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে আসর বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। এরপর ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা কমে নেমে আসে ১৪ তে।
২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে আরও কমে দলের সংখ্যা ছিল ১০টি। এতে বিপদে পরে যায় সহযোগী দেশগুলো। টেস্ট মর্যাদার অধিকারী আয়ারল্যান্ড এবং জিম্বাবুয়ে খেলতে পারেনি গেল বিশ্বকাপে।
১৯৮৩ সালের পর প্রথম জিম্বাবুয়ে কোন বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অনুপস্থিত ছিল। এছাড়া ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে নিয়মিত হেলে আসা আয়ারল্যান্ডও এই সিদ্ধান্তে মাথা চাপড়িয়েছিল। প্রতিবাদ করেও ইতিবাচক কিছু পায়নি।
দেশটির টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিল বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্স। ২০০৭ বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ, ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও ২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করে দলটি।
আয়ারল্যান্ড বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিউট্রম বলেছিলেন- ‘ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড এখনো বিশ্বাস করে বিশ্বকাপে দল সংখ্যা ১০ অনেক কম। এটা ক্রিকেটের অন্যতম বড় সমস্যাও। এ নিয়ে আমরা অনেক কাজ করছি।’