স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হেফাজত নেতাদের চার দাবি : মন্ত্রীর আশ্বাস!
সময় সিলেট ডেস্ক :
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার অভিযানে থাকা এবং সংগঠন সংস্কারের বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যেই হেফাজতে ইসলামের নেতারা তৃতীয়বারের মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে (৪ মে) সদ্যোবিলুপ্ত কমিটির মহাসচিব ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব নূরুল ইসলাম জেহাদীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যায়।
এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানও উপস্থিত ছিলেন। রাত ৯টা ২০ মিনিটে হেফাজত নেতারা বাসায় ঢোকার পর রাত পৌণে ১২টার দিকে বের হন। পরে হেফাজত নেতারা জানান- তারা স্বরাষ্টমন্ত্রীর কাছে নেতাদের মুক্তি ও কাওমী মাদরাসা খুলে দেওয়াসহ চারটি দাবি জানিয়েছেন।
হেফাজত নেতাদের গ্রেপ্তার করা শুরু হলে গত ১৯ এপ্রিল নূরুল ইসলাম জেহাদীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে দেখা করে। এরপর ২৬ এপ্রিল কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেয় হেফাজত। গত রোববার রাতে ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর নেতৃত্বে হেফাজতের আরেকটি অংশের চার নেতা মন্ত্রীর বাসায় গিয়ে বৈঠক করেন। ওই নেতারা প্রয়াত আমির আল্লামা আহমদ শফীর অনুসারী এবং বর্তমান নিয়ন্ত্রক জুনায়েদ বাবুনগরীবিরোধী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাসভবনে ঢোকেন নূরুল ইসলাম জেহাদীসহ সাতজন নেতা। এর কিছু সময় পর আরও তিন হেফাজত নেতা ভেতরে প্রবেশ করেন। এই ১০ জনের মধ্যে বিলুপ্ত কমিটির নায়েবে আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজী, মাওলানা মামুনুল হকের ভাই বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী আছেন। বাকিরাও সদ্যোবিলুপ্ত কমিটির নেতা। রাত পৌণে ১২টার দিকে বৈঠক শেষে হেফাজত নেতারা বেরিয়ে আসেন। এ সময় নূরুল ইসলাম জেহাদী সাংবাদিকদের বলেন- ‘আমরা আমাদের দাবিগুলো লিখিতভাবে জানিয়েছি। মন্ত্রী আমাদের কথা শুনেছেন। তিনি আশ্বাসও দিয়েছেন।’
হেফাজত নেতারা যে চারটি দাবি করেছেন তার প্রথমটি হলো- হেফাজতের আলেম নেতাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া। এরপর তারা গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধ করার দাবি করেছেন। হেফাজত নেতারা পূর্বের আলোচনা অনুযায়ী ২০১৩ সালের মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি করেন। এ ছাড়া তারা দ্রুত কাওমী মাদরাসাগুলো খুলে দেওয়ার দাবিও করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে- সম্প্রতি আহবায়ক কমিটি গঠনের পর কার্যক্রম এবং রাজনৈতিব কর্মকাণ্ড বন্ধ করার ব্যাপারে হেফাজত নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তারা শিগগিরই রাজনৈতিক নেতাদের বাদ দিয়ে কমিটি করা হবে বলে জানান।