সিলেটের মসজিদে মসজিদে ঈদ জামাত : করোনা থেকে মুক্তি চেয়ে দোয়া
সময় সিলেট ডেস্ক :
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে উদযাপিত হলো আরেকটি ঈদ। এবারও সিলেটে ঈদুল ফিতরের নামাজ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে মসজিদে আদায় করা হয়। নামাজের পরপরই বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি চেয়ে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল রহ. মাজার মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঐতিহ্যবাহী সিলেটের শাহী ঈদগাহ নামাজ না হওয়ায় প্রধান ঈদ জামাত এখানেই অনুষ্ঠিত হয়। একই সময়ে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে হযরত শাহপরান রহ. মাজার মসজিদেও।
সিলেটের হযরত শাহজালাল রহ. মাজার মসজিদে ঈদ জামাত ছাড়াও বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ১টি, হাজী কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে ৩টি এবং বন্দরবাজারস্থ কালেক্টরেট মসজিদে ৪টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল রহ. মাজার মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত এ বছর সিলেটের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত। এছাড়া সিলেটের বন্দরবাজারস্থ হাজী কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা, সাড়ে ৮টায় আর সাড়ে ৯ টায় ৩টি ঈদের ৩টি নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সাড়ে ৮টায় ও বন্দরবাজার এলাকার সিলেট কালেক্টরেট মসজিদে সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা ও ১০টায় ঈদের ৪টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকার মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
এতে সিলেটের বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে প্রবেশে মুসল্লিদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। অবশ্য মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করলেও বাইরে জটলা দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহত্তর সিলেটের সবক’টি ঈদের জামাতে নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানায় শত শত হাত। ইমামরা মোনাজাতে করোনাভাইরাস থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে আল্লাহর কাছে সাহায্য চান। এ সময় ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় মসজিদ আঙ্গিনা এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা। মোনাজাতে বাংলাদেশকে করোনামুক্ত করতে এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তৌফিক দিতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনার কারণে এবারও ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আদায় করা যাবে না। মসজিদে পড়তে হবে ঈদের নামাজ। একই সঙ্গে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। এদিকে নির্দেশনা অনুসরণ করে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদের ইমাম-খতিব, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।