রমজানে সেবাশিল্প : মহানুভব রাজনীতিবিদ হাবিবুর রহমান হাবিব—এর গল্প
ইফতেখার শামীম
তারুণ্যের ঝলকানি তার চোখে-মুখে। যৌবন তাকে পরিয়েছে সাহসের আমামা। স্বপ্ন তাকে শুনিয়েছে জাগৃতিক ঝংকার। পরিমার্জিত ও স্বচ্ছ রাজনৈতিক হিসেবে তিনি নিরন্তর গতিমান। অবিরত দান দক্ষিণার মহতি সাধনা তাকে করে রেখেছে সময়ের এক হাতেমতাই। তার কথা-বার্তা, চাল-চলন, নীতি-নৈতিকতা জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পরিচায়ক। মহান মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা-চেতনার যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন, জনগণের অধিকার আদায় এবং মানবপ্রেমে নিবেদিত থাকার প্রতি তার হৃদয়ের গভীর টানের বিষয়টি ইতোপূর্বে নজর কেড়েছে আপন-পর সবার।
হ্যাঁ; দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। যুক্ত ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী ও দেশের প্রধান রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের প্রবাসের মূলধারার রাজনীতিতে। ছিলেন দায়িত্বশীল, পালনও করেছেন নিষ্ঠার সাথে। তবে একজন দেশপ্রেমিক ও মুজিবাদর্শের সৈনিক হবার পাশাপাশি এলাকার মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা অনেক আগে থেকেই তাকে এলাকামুখি করে রেখেছে। তাইতো মা-মাটি-মানুষের টানে যখনই দেশে ফিরেছেন, ফিরেই নিজের বিশ্বস্ত হাত রেখেছেন অসহায় মানুষের কাঁধে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও পুরো রমজান মাস চষে বেড়িয়েছেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেন্সুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়নের গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায়। প্রতিটি ক্ষুধার্থ মানুষকে দিয়েছেন খাবার, পীড়িতজনকে দিয়েছেন সেবা। এ যেন গল্পের সেই আলাদিনের ‘আশ্চর্য প্রদীপ’ কিংবা পল্লীকবির ‘নিজের খাবার বিলিয়ে দেব অনাহারীর মুখে’ চরণের বাস্তব প্রতিফলন।
সিলেটবাসী যে ক’জন তরুণ রাজনৈতিকের দিকে আশার দৃষ্টিতে চেয়ে আছে, সন্দেহ নেই তিনি তাদেরই একজন। বলছি— বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট জেলা সদস্য ও সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেন্সুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হাবিবুর রহমান হাবিব’র কথা। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কামালবাজারস্থ ধরগাঁও গ্রামের কৃতি সন্তান হাবিবুর রহমান হাবিব জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার আগেই এলাকার মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন আপন কর্মগুণে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়- জেলা আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব করোনা মহামারীর এই সংকটেও বিপন্ন মানুষের কাছে ছুটে গিয়েছেন নির্দ্বিধায়। সিয়াম সাধনার পাশাপাশি রমজানের প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও (কোন কোন দিন একাধিক স্থানে) বিলি করেছেন খাদ্যসামগ্রী। খোঁজ নিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীর, মতবিনিময় করেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নেতৃবৃন্দের সাথে, যোগ দিয়েছেন অনেক রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় আয়োজন-অনুষ্ঠানে।
জানা যায়, গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেন্সুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনে পরপর তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী করোনাক্রান্ত হয়ে মারা গেলে আসনটিকে শূন্য হিসেবে ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। শূন্য হয়ে যাওয়া এই আসনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা। কে হচ্ছেন এই আসনের পরবর্তী সংসদ সদস্য, এই নিয়ে এখন সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যেও চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক। আবার উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। অনেকে রাজনৈতিক ও সামাজিক তৎপরতার মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি নির্বাচনী মাঠ দখলে নিতে দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন। আবার অনেকেই দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী ও তৃণমূল পর্যায়ে লবিং করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন- সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব। গত জাতীয় নির্বাচনেও তিনি এই আসনে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন, কিন্তু সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা থেকে সরে যান এবং নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে দিন-রাতের ব্যাকরণ ভেঙ্গে কাজ করেছেন।
দীর্ঘদিন থেকে আদর্শ মানুষ গঠনে শিক্ষার প্রচার-প্রসার, মূল্যবোধ তৈরীতে সামাজিক তৎপরতা, অধিকার আদায়ে রাজনৈতিক আন্দোলন এবং জনকল্যাণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসা হাবিবুর রহমান হাবিবের মানবিক তৎপরতা এবং প্রার্থীতার খবরে সাড়া পড়েছে নির্বাচনী এলাকাজুড়ে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে যেমন প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে, তেমনি সাধারণ জনগণের মাঝেও বিরাজ করছে এক নতুন আবহ। এতে করে নতুনভাবে হিসেব কষতে শুরু করেছেন সচেতনমহল।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমার কামাল বাজার ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো. দেলওয়ার হোসাইন বলেন— ‘রাজনীতিবিদ’ শব্দটা যখন ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে, ক্ষমতাসীন সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে জনগণের মাথার উপর খবরদারি করা যখন ট্রেন্ড হয়ে যাচ্ছে, এই সময়ে এসে হাবিব ভাইয়ের মতো মহানুভব রাজনীতিবিদ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া মানে গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচিত হওয়া। তিনি বলেন— আমার বিশ্বাস, দল এবং জনগণ তাকে মূল্যায়ন করবে।
সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব জানান— নির্বাচনকে উপলক্ষ্য করেই শুধু নয়, আমি দীর্ঘদিন থেকে এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছি। এমপি না হয়েও এলাকায় মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা তৈরি করেছি। দীর্ঘ এই পথচলায় জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা আমাকে বৃহৎ পরিসরে জনকল্যাণে ভূমিকা রাখতে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে আশাবাদি করে তুলেছে।
তিনি বলেন- গত জাতীয় নির্বাচনেও আমি এই আসনে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলান, কিন্তু দলের নির্দেশে প্রার্থিতা থেকে সরে গিয়ে সদ্য সাবেক সাংসদ মরহুম মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীর পক্ষে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে অগ্রনী ভূমিকা রেখেছি।
হাবিবুর রহমান হাবিব আরও বলেন- এলাকার মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা আমার সঙ্গে আছে, এই বিশ্বাস থেকে আশা করি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে বৃহৎ পরিসরে জনকল্যাণে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দেবেন।