কিশোরগঞ্জের হাওরে পর্যটকদের ভিড় : গোসলে নেমে একজনের মৃত্যু
সময় সিলেট ডেস্ক :
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এবারের ঈদে কিশোরগঞ্জ হাওরে বিপুলসংখ্যক পর্যটক ভিড় জমিয়েছেন। ঈদের দিন থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ও দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য পর্যটক হাওর–অধ্যুষিত নিকলী, ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও করিমগঞ্জ উপজেলায় ভিড় করেন। ঈদের পরের দিন গতকাল শনিবার (১৫ মে) বন্ধুদের সঙ্গে মিঠামইনের হাওরে ঘুরতে এসে গোসলে নেমে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়— মৃত ব্যক্তির নাম মাজহারুল ইসলাম (২৮)। তিনি করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নের সাইটুটা গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য— গতকাল বিকেলে মিঠামইন উপজেলার ঢাকী সেতুর নিচে পাঁচ বন্ধু গোসল করতে নামেন। একপর্যায়ে মাজহারুল ইসলাম পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হন। দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যার আগে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মাজহারুলের লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন মিঠামইন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা আল-আমিন।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির রাব্বানী এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন— মরদেহ উদ্ধার করার পর তাঁর পরিবারের লোকজন নদীপাড়ে এসে মরদেহটি মাজহারুলের বলে শনাক্ত করেছেন।
এদিকে শুধু যাত্রীবাহী গাড়ি নয়, মালবাহী ট্রাক্টর ও পিকআপ ভ্যানে নেচে-গেয়ে মানুষ হাওরে বেড়াতে যাচ্ছেন। বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক থাকে না। কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো নজরদারি নেই। তাই হাওরে জনসমাগম এড়াতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয় লোকজন।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসসাদিক জামান বলেন— ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলমান আছে। পাশাপাশি মানুষকেও সচেতন হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।