ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সংঘাত নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান
স্টাফ রিপোর্টার :
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংঘাত অবসানের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে অবিলম্বে রক্তক্ষয় বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমাধানের প্রতি বাংলাদেশ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ মে) ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে বাংলাদেশের এ অবস্থান তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। শাহরিয়ার আলম বলেন— মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের চলমান সংঘাতে বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ওআইসির নির্বাহী কমিটির সাম্প্রতিক এক বৈঠকে বিষয়টি সমাধানে যে নিরাপত্তা পরিষদের এগিয়ে আসা উচিত, তা বাংলাদেশ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন— ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিরসনে জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশ ভূমিকা পালন করে যাবে। তবে আমরা মনে করি, সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। গত রোববার ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকেও বাংলাদেশ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রকেই বড় ভূমিকা রাখতে হবে। মার্কিন প্রশাসনের ত্বরিত পদক্ষেপ সংকট মোকবিলায় সহায়তা করতে পারে।’
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানান— মধ্যপ্রাচ্য সংকট, বিশেষ করে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতির বিষয়টি তিনি ওয়াশিংটনকে অবহিত করেছেন।
জেরুজালেমে ইসরায়েলের রাজধানী প্রতিষ্ঠা এবং সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস চালুর বিষয়ে দুই বছর আগে ওআইসি বিরোধিতা করেছিল। অতীতের মার্কিন প্রশাসনের ভূমিকা যে সংকটকে ঘনীভূত করেছে, সেটিও সোমবারের আলোচনার সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
শাহরিয়ার আলম বলেন— জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য সংকট সমাধানের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, বাংলাদেশ সেটা যে জোরালোভাবে সমর্থন করে, সেটা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে আবার বলা হয়েছে।
সৌজন্য সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে— মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাতের সময় দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়গুলোর অন্যতম ছিল কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা ও টিকার ক্ষেত্রে সহযোগিতা, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসান এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য চলতি বছরের আন্তর্জাতিক বৈশ্বিক তহবিল যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনার ঘোষণা (জেআরপি)।