ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গড়ার প্রস্তাব তুরস্কের
আন্তর্জাতিক সময় :
ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় একটি ‘আন্তর্জাতিক সুরক্ষাব্যবস্থা’ করার প্রস্তাব দিয়েছে তুরস্ক। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিশু’সহ বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির মধ্যে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জরুরি বৈঠকে এই প্রস্তাব দিয়েছে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সরকার।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটিওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত রোববার (১৬ মে) ৫৭ দেশের জোট ওআইসির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলিত সাভাসগলু এই প্রস্তাব করেন।
মেভলিত সাভাসগলু বলেন— এই প্রচেষ্টায় একটি আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বাহিনী গঠনের মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। আগ্রহী দেশগুলোর অর্থসহায়তায় এটা করা যেতে পারে। এ ধরনের ব্যবস্থা ২০১৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত একটি প্রস্তাবের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
মেভলিত সাভাসগলু বলেন— এখন ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি ও আন্তরিকতা দেখানোর সময়। তুরস্ক যেকোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন— ‘আমাদের ন্যায়বিচার ও মানবতার পক্ষে দাঁড়ানো উচিত। এখানে অন্য কোনো কিছু বিবেচনা করা উচিত নয়।’ ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দুই সপ্তাহে গড়িয়েছে ইসরায়েল-হামাস পাল্টাপাল্টি হামলা। এতে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত দুইশো জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক। অপরদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে দশ জন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের এক জেনারেল জানিয়েছেন— এর আগে কখনো এত সংখ্যক রকেট মোকাবিলা করেনি ইসরায়েল। হামাসের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির কথা স্বীকার করেছেন তিনি।