জৈন্তাপুর সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে ৫ বাংলাদেশী আহত

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নলজুরী সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় খাসিয়া আধিবাসীদের গুলিতে বাংলাদেশী ৫ নাগরিক আহত হয়েছেন।

নলজুরি সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে খাসি নদীর উৎসমূখ হতে পাথর সংগ্রহ করতে গেলে খাসিয়ারা বাংলাদেশী শ্রমিকদের উপর গুলি চালায় বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) রাতে তুমুল বৃষ্টির সময় জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামবাড়ি ও গোয়াইনঘাট উপজেলার নলজুরী এলাকার মধ্যবর্তী ১২৭৫/৫ এস নং পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- রাতে খাসি নদীতে ভারতে অভ্যান্তরে প্রবেশ করে পাথর আনতে গেলে ভারতীয় খাসিয়ারা আদিবাসিরা বাংলাদেশি শ্রমিকদের উপর কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এ ঘটনায় ৫ জন পাথর শ্রমিক আহত হন।

এলাকাবাসী আরও জানান- দীর্ঘদিন থেকে পাথরলোটেরা গোষ্ঠী ১৫ থেকে ২০টি নৌকা দিয়ে খাসি নদীর উৎসমূখ হতে পাথর উত্তোলন করে আসছে। এছাড়া দিনের বেলা তাদের আরকটি চক্র সীমান্তের ১২৭৫ থেকে ১২৭৮ এলাকার বিভিন্ন টিলা ও জমি খুড়ে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করছে। ইতোমধ্যে কয়েক দফা ভারতীয় বিএসএফ নো-ম্যান্স এলাকা হতে পাথর উত্তোলন না করার জন্য মৌখিক ভাবে নিষেধ দিয়েছে। কিন্তু চক্রটি নো-ম্যান্স এলাকায় দিনে ও রাতে খাসি নদীর উৎসমুখ পার হয়ে ভারতের অভ্যান্তের প্রবেশ করে পাথর চুরি করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার পাথরখেকোদের একটি দল ১৫/২০ টি নৌকা নিয়ে প্রবেশ করলে পূর্ব হতে প্রস্তুতি নিয়ে থাকা ভারতীয় খাসিয়ারা নৌকা ঢোকার সাথে সাথে ২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় ৫ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়। আহতদের দুইজন জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বাকীরা আইনের ভয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানায়।

গত ২০০৭ সালের ১২ ডিসেম্বর বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় খাঁসি নদী হতে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনে একটি সংবাদ প্রকাশের পর ৮ ডিসেম্বর তৎকালীন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীন করিম অভিযান পরিচালনা করে ২০টি বোমা মেশিন ধ্বংস করেন এবং এই নদী হতে পাথর ও বালু উত্তোলনের অযোগ্য ঘোষনা করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। সম্প্রতি পাথরখেকো চক্র প্রতিদিন স্থানীয় সীমান্ত বাহিনী ও প্রশাসন ম্যানেজ করে এবং তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাথর উত্তোলন করছে।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ জানান- সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এ ঘটনায় ভারতীয় খাঁসিয়ার গুলিতে ২জন আহত হওয়া বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন বলে তিনি জানান। আহতদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি এ প্রতিবেদকে নিশ্চিত করেন।