জগন্নাথপুরে মারামারির মামলায় একসঙ্গে ৩৬ আসামি গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানা পুলিশের অভিযানে মারামারির মামলার ৩৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ মে) বিকেলে তাদেরকে সুনামগঞ্জ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের রমাপতিপুর গ্রামের শাহ আকমল হোসন ও কাজল মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। প্রায়ই দুপক্ষের মধ্যে এনিয়ে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। গত ১৭ মে সন্ধ্যায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’পক্ষই জগন্নাথপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এসব মামলার ৩৬ আসামি আকমল হোসেন পক্ষের লোক। তারা একটি বাসযোগে সুনামগঞ্জ থেকে ফিরছিলেন। এসময় একদল পুলিশ জগন্নাথপুর উপজেলা সদর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

শাহ আকমল হোসেন জানান- জগন্নাথপুর থানায় দায়েরকৃত একটি মারামারির মামলায় সুনামগঞ্জের আদালত থেকে জামিন নিয়ে আমাদের লোকজন মিনিবাস যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পুলিশ ফেরার পথে তাদেরকে আটক করেছে।

মামলার বাদী রানু খানের সঙ্গে মুঠোফোন যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জগন্নাথপুর থানার উপ-পরিদর্শক অনিক দে জানান- গত ১৭ মে সংঘর্ষের ঘটনায় রমাপতিপুর গ্রামের কাজল মিয়ার পক্ষের রানু খান বাদি হয়ে জগন্নাথপুর থানায় ৭২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত ৩৬ জন ওই মামলার এজহারভূক্ত আসামি।

জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন- আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রমাপতিপুর গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি কাজল মিয়া পক্ষের আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার আকমল হোসেন পক্ষের ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।