করোনার মধ্যে নির্ভানা ইনের সুইমিংপুল খোলা রাখা নিয়ে প্রশ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :
করোনা সংক্রমণের কারণে বন্ধ রয়েছে সব বিনোদন কেন্দ্র। বন্ধ রয়েছে হোটেল-মোটেলও। এ অবস্থায় সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গাল এলাকার হোটেল নির্ভানা ইন’র সুইমিংপুল খোলা রাখা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেলে এই সুইমিংপুলে সাঁতার শিখতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী রৌদ্র দত্ত। নিহত রৌদ্র দত্ত ওই বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো। সে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার বাসিন্দা। বন্ধুদের সাথে সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে মারা যায় রৌদ্র।
শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর শুনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির খান। এসময় তিনি করোনার মধ্যে হোটেল নির্ভানা ইনের সুইমিংপুল খোলা রাখা বিধিবর্হিভূত ছিলো বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন- বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির মাঝে হোটেল নির্ভানা ইনে সুইমিংপুল চালু রাখা ঠিক হয়নি। এটি বিধিসম্মত নয়।
এ ব্যাপারে হোটেল নির্ভানা ইনের ওয়েবসাইটে দেওয়া মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে একজন নারী কল রিসিভ করেন। তবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও সুইমিংপুল খোলা রাখা নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) এস এম আবু ফরহাদ হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন- ‘হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন করোনার কারণে তারা সাঁতার শেখানো বন্ধ রেখেছেন। যারা সাঁতার জানে তারাই এখন ওখানে সাঁতার কাটতে যায়। কিন্তু মঙ্গলবার বন্ধুদের সাথে রুদ্রও সেখানে চলে যায়।
ওসি বলেন, কেন সুইমিংপুল খোলা রাখা হয়েছিলো তা খতিয়ে দেখা হবে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিহত রৌদ্রের সাথে সাঁতার কাটতে যাওয়া একরাম হোসেন জানান- বিকাল ৫টার দিকে হোটেল নির্ভানা ইনের সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে যাই। এসময় রৌদ্রের সহপাঠিরাও সাথে ছিল। পুলে নামে আধাঘন্টার মধ্যে রৌদ্রকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সবাই অনেক খোঁজার পরও তাকে না পাওয়ায় হোটেলের কর্মীরা পুলে নামেন। তখন হোটেলের কর্মীরা দেখতে পান রৌদ্র পানির নিচে ডুবে আছে। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে ওসমানী মেডিকেলের নিয়ে আসা হয়। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।