ছাতকে যুবক খুন: ৩ মাস পর রহস্য উদঘাটন, দম্পত্তির স্বীকারোক্তি
ছাতক সংবাদদাতা :
ছাতকের দক্ষিণ বাগবাড়ী লেবারপাড়া এলাকায় জমিতে থেকে উদ্ধার করা যুবকের অর্ধগলিত লাশের পরিচয় মিলেছে। লাশ উদ্ধারের প্রায় ৩ মাস এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের কথাও জানিয়েোছে পুলিশ।
জমি থেকে লাশ উদ্ধার হওয়া যুবকের নাম সাব্বির আহমদ(১৩)। তিনি মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার নেয়াগাঁও গ্রামের বাবুল মিয়ার পুত্র।
গত রোববার (২৩ মে) এ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে তাজুল মিয়া খছরু (৫৫) এবং তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম(৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাজুল ইসলাম খছরু দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর গ্রামের মৃত রশিদ আলীর পুত্র। বর্তমানে ছাতকের দক্ষিন বাগাবাড়ী লেবারপাড়া এলাকায় বসবাস করছে তারা।
গত ৪ মার্চ সকালে লেবারপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাজী বাবুল মিয়ার জমি থেকে অর্ধগলিত বিকৃত এক অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় ছাতক থানার এসআই মাসুদ রানা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ছাতক থানায় একই হত্যা মামলা(নং-০৬) দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্তভার দেয়া হয় ছাতক থানার এসআই আসাদুজ্জামানকে। তিনি প্রায় ২ মাস তদন্ত করে এর কোন ক্ল-উদঘাটন করতে পারেননি।
অবশেষে ছাতক থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান পিপিএমকে দেয়া হয় এর তদন্তভার। তিনি হত্যার রহস্য উদঘান করে এক দম্পত্তিকে গ্রেপ্তার করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়- সাব্বির আহমদকে হত্যার পর তার লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে রাসায়নিক দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে বিকৃত করা হয়। পরে লেবারপাড়া এলাকার একটি জমিতে লাশ ফেলে দেয়া হয়।
এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম জানান- যুবক সাব্বির আহমদকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে খছরু ও তার স্ত্রী।