১২৪ কোটি টাকায় দর্শনীয় স্থলবন্দর হচ্ছে বিয়ানীবাজারের শেওলা
সময় সংগ্রহ :
শহিদুল ইসলাম সাজু, (বিয়ানীবাজার থেকে) : দেশের চারটি স্থলবন্দর আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে বর্তমান সরকার। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্টের আওতায় স্থলবন্দরগুলোতে উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দর। বেনাপোল, ভোমরা, রামগড় ও শেওলা- এই চারটি স্থলবন্দরের আধুনিকায়নে ব্যয় হচ্ছে ৬৯৩ কোটি টাকা।
২০১৭ সালে শেওলা শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দরে উন্নীত করা হয়েছে। স্থলবন্দরটির আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের জন্য ব্যয় হচ্ছে ১২৪ কোটি টাকা। দীর্ঘ জটিলতার পর প্রস্তাবিত ২২.১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্থলবন্দরটির আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।
আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় স্থলবন্দরটিতে নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক অফিস ভবন, ওয়্যার হাউজ, দুইটি ট্রাক টার্মিনাল, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন স্ট্যাক ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, ড্রেন, টয়লেট কমপ্লেক্স, ওয়েব্রিজ স্কেল, পানি সরবরাহ, বৈদ্যুতিকীকরণ, ওয়াচ টাওয়ার ও অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা। এছাড়া স্থলবন্দরের সীমানা মধ্যে থাকা জলাশয় এবং খাল ও নালাকে লেক ও সুইমিং পুলের আদলে রূপ দেয়া হবে ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন- আধুনিকায়ন ও উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ও দর্শনীয় স্থলবন্দর হবে শেওলা স্থলবন্দর।
শেওলা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন প্রজেক্টের সাইট ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মকদম আলী জানান- বর্তমানে স্থলবন্দরের উন্নয়ন প্রজেক্টের মাটি ভরাট করা, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা, জলাশয় ও খালকে লেক ও সুইমিং পুলের আদলে রূপান্তর করা, ভবন ও সেতু নির্মাণের কাজ চলমান আছে। পর্যায়ক্রমে প্রকল্পের নকশার সাথে মিল রেখে সম্পূর্ণ বন্দরের কাজ করা হবে।
তিনি আরও জানান- শেওলা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হলে সিলেট অঞ্চলের জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। একইসাথে আমদানি-রপ্তানিতে রাজস্ব খাতে ব্যাপকভাবে আয় বাড়বে।
শুরু থেকে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় শেওলা স্থলবন্দরের আধুনিকায়নের কাজ দীর্ঘদিন আটকে ছিল। ২০১৮ সালে এ প্রকল্পের প্রকৌশলী রুহুল আমিন স্থলবন্দরের আধুনিকায়ন কাজ নিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রকল্পের অন্যান্য দায়িত্বশীলদের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেন। বিশেষ করে ভূমি অধিগ্রহণে রূপরেখা প্রণয়ের পরামর্শ ও সহযোগিতা চান স্থলবন্দরের আধুনিকায়ন ও উন্নয়ন কাজ প্রকল্পের দায়িত্বশীলরা।
দীর্ঘদিন পর ২০২০ সালে শেষের দিকে ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সুরাহা হলে ঠিকাদার নিয়োগসহ উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। তবে উন্নয়ন কাজের মন্থরগতির কারণে কবে নাগাদ উন্নয়ন কাজ পুরোপুরি শেষ হবে, সেটি জানাতে পারেননি এই প্রকল্পের প্রকৌশলী রুহুল আমিন। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।