‘নাগরিকত্ব দিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে কাজ করছে জাতিসংঘ’
সময় সংগ্রহ :
মোঃ শেখ রাসেল, টেকনাফ (কক্সবাজার) থেকে : মিয়ানমারের নানা নির্যাতনে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দিয়ে ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ভলকান বোজকিশ।
বুধবার (২৬ মে) দুপুরে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। টেকসই প্রত্যাবাসনের আশ্বাস পাওয়ায় খুশি রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরাও।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন দেওয়া হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। তার ওপর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে পড়ছে বৃষ্টি। এসব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই বুধবার সকালে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ছুটে যান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি।
ক্যাম্পে বৈঠক করেন ৩৪টি আশ্রয় শিবিরের ৪০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে। রোহিঙ্গাদের অনেকেই স্বদেশে ফিরতে অধীর আগ্রহের কথা তুলে ধরেন। সাথে বৈঠক হয় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ভলকান বোজকিশ সাংবাদিকের জানান- মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত এবং নাগরিকত্ব নিয়ে স্বদেশে ফেরাতে কাজ করছেন তারা।
প্রসঙ্গতঃ নতুন পুরনো মিলে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। ৩ বছরের বেশি সময় ধরে কয়েকবার চেষ্টা পরও মিয়ানমারের অনীহার কারণে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।
শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনকালে সাথে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, জাতিসংঘের বাংলাদেশ অফিসের প্রধান মিয়া সেফকো, বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা সরওয়ার তুরান, শরনার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াত, অতিরিক্ত আরআরআরসি (জ্যেষ্ঠ উপসচিব) মোহাম্মদ সামছু দ্দৌজা নয়ন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান, এপিবিএন এর অধিনায়ক, উখিয়ার ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ, জাতিসংঘের কক্সবাজারে কর্মরত সংস্থা সমূহের প্রতিনিধিগণ সাথে উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে কক্সবাজারে সাড়ে ৫ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফর শেষে সফরসঙ্গীরাসহ জাতিসংঘের বিশেষ বিমানযোগে কক্সবাজার বিমানবন্দর ত্যাগ করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট।