অভিযানে সিসিক : নগরীতে ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত
স্টাফ রিপোর্টার :
কাছাকাছি কয়েকটি বিচ্যুতি (ফল্ট লাইন) থাকায় ভূমিকম্প উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে সিলেট। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ঘনঘন কয়েকটি ভূমিকম্পের কারণে জনমনে বেড়েছে আতঙ্কও। তাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযানে নামছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
ইতোমধ্যে নগরীতে এরকম ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। যার মধ্যে সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ভবনও রয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে সার্ভে করে নগরীর ২৩টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর বাইরে গতকাল শনিবার (২৯ মে) ভূমিকম্পে হেলে পড়া আরও দুটি ভবনকে নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান- ২০১৯ সালে নগরীর ২৩টি বহুতল ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ভবনগুলো হচ্ছে- জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উত্তর পাশের কালেক্টরেট ভবন-৩, জেলরোডস্থ সমবায় ব্যাংক ভবন, একই এলাকায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয় ভবন, সুরমা মার্কেট, বন্দরবাজারস্থ সিটি সুপার মার্কেট, জিন্দাবাজারের মিতালী ম্যানশন, দরগাগেইটের হোটেল আজমীর, বন্দরবাজারের মধুবন সুপার মার্কেট, টিলাগড় কালাশীলের মান্নান ভিউ।
এছাড়া, নগরের শেখঘাট এলাকায় শুভেচ্ছা-২২৬ নম্বর ভবন, যতরপুরের নবপুষ্প ২৬/এ বাসা, চৌকিদেখির ৫১/৩ সরকার ভবন, জিন্দাবাজারের রাজাম্যানশন, পুরানলেনের ৪/এ কিবরিয়া লজ, খারপাড়ার মিতালী-৭৪, মির্জাজাঙ্গাল মেঘনা এ-৩৯/২, পাঠানটুলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বাগবাড়ির একতা ৩৭৭/৭ ওয়ারিছ মঞ্জিল, একই এলাকার একতা ৩৭৭/৮ হোসেইন মঞ্জিল, একতা-৩৭৭/৯ শাহনাজ রিয়াজ ভিলা, বনকলাপাড়া নূরানি-১৪, ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়ের পৌরবিপণী মার্কেট ও ধোপাদিঘীরপাড়ের পৌর শপিং সেন্টার। এর মধ্যে পুরানলেনের ৪/এ কিবরিয়া লজটি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়ে মেরামত করা হয়েছে।
সিলেটে একদিনে ঘন ঘন ভূমিকম্পের প্রভাবে নগরের পাঠানটুলা ও দর্জিপাড়া এলাকায় দুইটি ৬ তলা ভবন হেলে পড়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) ভবন দুটি পরিদর্শন করেছে। ভবনের বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।