বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে
সময় সিলেট ডেস্ক :
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কোনোভাবেই কমছে না। সবশেষ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার। আর এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭ কোটি ১০ লাখ।
সোমবার (৩১ মে) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ৩১৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে দুই হাজারের বেশি। এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮০৭ জন।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৯ হাজার ৫৪৪ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৬৫ লাখ ১৫ হাজার ১২০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৯২ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। দেশটিতে মোট আক্রান্ত দুই কোটি ৮০ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫৭ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ২৯ হাজার ১২৭ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৬ লাখ ৬৬ হাজার ১১৩ জন, রাশিয়ায় ৫০ লাখ ৬৩ হাজার ৪৪২ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৪ লাখ ৮৪ হাজার ৫৬ জন, ইতালিতে ৪২ লাখ ১৬ হাজার ৩ জন, তুরস্কে ৫২ লাখ ৪২ হাজার ৯১১ জন, স্পেনে ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার ৬৫৮ জন, জার্মানিতে ৩৬ লাখ ৮৭ হাজার ৭১৫ জন এবং মেক্সিকোতে ২৪ লাখ ১১ হাজার ৫০৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ৯ হাজার ৪০২ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ২১ হাজার ১৬২ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৮১ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৬ হাজার ৪৬ জন, তুরস্কে ৪৭ হাজার ৪০৫ জন, স্পেনে ৭৯ হাজার ৯০৫ জন, জার্মানিতে ৮৯ হাজার ৫১ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৫৫ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।