সিলেটের যুবক হত্যা : জবাইয়ের পর দেহ ৬ টুকরো করেন স্ত্রী
সময় সিলেট ডেস্ক :
রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে ময়না মিয়া নামে সিলেটের যে ব্যক্তির খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তার হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। নিহত ময়নার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায়।
পুলিশ জানিয়েছে- ময়না মিয়ার ১ম স্ত্রী ফাতেমা খাতুন তার স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর একাই জবাই করে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ ছয় টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন। দ্বিতীয় বিয়ে করায় এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহের কারণে ময়না মিয়াকে হত্যা করেন প্রথম স্ত্রী ফাতেমা।
মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন- ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে স্বামী ময়না মিয়াকে প্রথমে অচেতন করেন প্রথম স্ত্রী ফাতেমা। এরপর স্কচটেপ দিয়ে মুখ এবং ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে ময়নাকে জবাই করে হত্যা করেন। হত্যার পর ঘরে বসেই হাত, পা, গলা কেটে আলাদা করেন তিনি। পরে ফাতেমা হাত-পা-মস্তকবিহীন শুধু শরীর মহাখালী আমতলীতে ফেলে দেন, হাত ও পা ফেলেন মহাখালী বাস টার্মিনালের এনা পরিবহনের কাউন্টারের পাশে আর মাথা ফেলে দেন বনানী লেকের ১১ নম্বর ব্রিজের নিচে।
যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন- প্রথম স্ত্রীকে রেখে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকার কারণে পরিকল্পনা করে ময়না মিয়াকে হত্যা করা হয়। হত্যার সঙ্গে আর কেউ জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন ফাতেমা। শুধু এক রিকশাচালক ১ হাজার ৩০০ টাকার বিনিময়ে মরদেহের টুকরোগুলো ফেলে দিয়েছিলেন। ওই রিকশাচালককে খোঁজা হচ্ছে।
এর আগে রোববার (৩০ মে) রাতে এ ঘটনায় নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় প্রথম স্ত্রী ফাতেমাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং তাকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী থেকে একটি নীল রঙের ড্রাম থেকে হাত, পা ও মাথাবিহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাত ৯টার দিকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডের এনা কাউন্টারের কাছে একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় উরু থেকে কাটা দুই পা এবং কাঁধ থেকে কাটা দুই হাত। এরপর নিহতের প্রথম স্ত্রী ফাতেমাকে সোমবার দুপুরে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। তার দেওয়া তথ্যে বনানী ১১ নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন লেক থেকে উদ্ধার হয় খণ্ডিত মাথা।