আল্লামা শফীর হত্যা মামলা ইস্যুতে হেফাজতের সংবাদ সম্মেলন : পাঁচদফা দাবি
স্টাফ রিপোর্টার :
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী’র হত্যা মামলা ইস্যুতে আলেমদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার পর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভি.আই.পি লাউঞ্জে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মুহাদ্দিস মাওলানা নুরুল ইসলাম জাদিদ।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের ও উস্কানিদাতাদের গ্রেফতারপূর্বক বিচারকার্য দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন আল্লামা শফী অনুসারীরা।
আল্লামা আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়— আমরা মনে করি- শাইখুল ইসলাম শহীদ আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে শহীদ করে বিভিন্ন কওমি মাদরাসা এবং হেফাজতে ইসলামকে একটি চিহ্নিত মহল তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
এসবের নেতৃত্বে মূলত হেফাজতের গুটিকয়েক নেতা এবং চিহ্নিত কিছু চরমপন্থী রয়েছে। হাটহাজারী মাদরাসায় আন্দোলনের নামে আল্লামা শফীর রুম ভাংচুর এবং তার ওপর মানসিক চাপ, অসৌজন্যমূলক আচরণ, মেডিসিন নিতে বাধা প্রদান, তার চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটানো —এসবই ছিল তাদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
হেফাজতের সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো :
১. বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আল্লামা শাহ আমদ শফীর ‘অস্বাভাবিক মৃত্যুর’ রহস্য উদঘাটন করে এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
২. তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলা তদন্তপূর্বক অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে।
৩. আল্লামা শফীর পরিবারের সদস্যদের ও তার অনুসারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যারা মামলা তুলে নেয়ার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. আহমদ শফীর রেখে যাওয়া সব দ্বীনি ও সামাজিক অঙ্গনগুলো থেকে তার বিরোধীদের অপসারণ করতে হবে।
৫. অবিলম্বে দেশের সব হিফজ-মক্তব মাদরাসা খুলে দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আল্লামা আহমদ শফীর শ্যালক মাইনুদ্দিন, ছোট ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা আবদুল হামিদ (মধুপুরী পীর), মুফতি ফয়জুল্লাহ’সহ হেফাজতের বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।