পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বন্যার আশঙ্কা : সতর্ক থাকার আহ্বান
স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে গত ২ দিন টানা বৃষ্টির ফলে নিম্নাঞ্চলে কিছু জায়গা প্লাবিত হয়েছে। এমন অবস্থায় উজানে ভারি বৃষ্টিপাত হলে সিলেট বিভাগজুড়ে বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ভারতের চেরাপুঞ্জি, মেঘালয়, শিলংসহ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুজ্জামান সরকার।
তিনি বলেন- ‘এখন পর্যন্ত আমাদের সিলেটে তুলনামূলক বৃষ্টিপাত কমই হয়েছে। তাই কয়েকদিন টানা বৃষ্টি দিলেও খুব বেশি একটি সমস্যা হবে না। নিম্নাঞ্চলে কিছুটা প্লাবন দেখা দিতে পারে। তবে উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কারণে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
অপরদিকে সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলায় গত ২ দিনের টানা বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। উপজেলার সবকটি ছোট-বড় নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাহাড়ি ঢল নেমে আসলে প্লাবন আরও বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন সচেতন মহল। উপজেলার প্রধান নদ-নদীর মধ্যে সারী নদী, বড়গাং নদী, রাংপানি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কোন সময় নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার উপর দিয়ে যেতে পারে। এমনকি জৈন্তাপুর উপজেলা মেঘালয়ের পাদদেশে হওয়ায় এবং টানা বৃষ্টির ফলে যে কোন সময় পাহাড়ী ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে সিলেটের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন- সিলেট বিভাগজুড়ে টানা বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। তবে পরিমাণ কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। গত ৩১ মে সিলেটে ৭৫ মিলিমিটার, ১ জুন ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত মাসের তুলনায় এ মাসে বৃষ্টি বেশি হলেও তা খুব বেশি নয় এবং অস্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভাবনাও খুব বেশি একটি নেই। তবে ভারতে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে সিলেট বিভাগজুড়ে ঘেঁসে থাকা মেঘালয়, শিলং, চেরাপুঞ্জিসহ বিভিন্ন জায়গায় ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকায় বৃষ্টি হলে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আমাদেরে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা হতে পারে।
তিনি বলেন- ‘ভারতের চেরাপুঞ্জি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা। তাই এখানে বৃষ্টি বেশি হলে ওই এলাকার পানি আমাদের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করে দিতে পারে। সে হিসেবে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।’
তবে সিলেট জেলা প্রশাসন থেকে সকলরকম প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া সেল) শাম্মা লাবিবা অর্ণব।
তিনি বলেন- ৪ তারিখ বা ৫ তারিখের দিকে কি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হতে পারে, তা আবহাওয়া পূর্বাভাসে অবগত আছি। সে অনুযায়ী সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার মাধ্যমে সকল কিছু তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে।