সিসিক কর্তৃক বাসদ নেতাদের উপর মামলা প্রত্যাহারের দাবি বিশিষ্টজনদের
সময় সিলেট ডেস্ক :
সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃক বাসদ সিলেট জেলার সমন্বয়ক আবু জাফর, সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল ও জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমনের উপর দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সিলেটের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ। শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন- “করোনাকালে লকডাউনের কারণে সারাদেশের মতো সিলেটেও নিম্ন আয়ের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সঙ্কটে পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সঙ্কটে পড়ে সিলেটের শ্রমজীবী মানুষ। জীবন জীবিকার সঙ্কটের কারণে তাদের অনেকেই নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো শুরু করেন। গত কয়েকদিনে অনেকের ব্যাটারীচালিত রিকশা সিটি করপোরেশনের মোবাইল টিম আটক করে। গত ২ জুন ২০২১ ব্যাটারীচালিত রিকশা ফেরত চাওয়া’সহ অন্যান্য দাবিতে হত-দরিদ্র শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করে সিটি করপোরেশনের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করে সমাবেশ করতে থাকেন। এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ’সহ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন পরিচালনায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সিলেট জেলার সমন্বয়ক আবু জাফর, সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল ও জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকেন। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলাকালে বহিরাগতদের কিছু উষ্কানিমূলক আচরণের প্রেক্ষিতে সংঘটিত অনভিপ্রেত পরিস্থিতি সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে আমরা’সহ সিলেটবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে বাসদ নেতৃবৃন্দের উভয়পক্ষের অনুরোধ করা’সহ নানাভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন, যা সিলেটবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে দেখা যায়- সিসিক কর্তৃপক্ষ বাসদ সিলেট জেলার সমন্বয়ক আবু জাফর, সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল ও জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন গং কে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন, যা কোন ভাবেই সঙ্গত হয়নি। বর্ণিত নেতৃবৃন্দ কখনো কোন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে জড়িত থাকেননি বরং বিভিন্ন সময় গণমানুষের দাবি আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁরা নিজেরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এমতাবস্থায় সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃক সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে দায়েরকৃত মামলাটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।”
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ হলেন- গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য, জাসদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি লোকমান আহমেদ, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন, অ্যাডভোকেট নীলেন্দু দেব, অ্যাডভোকেট আনসার খান, সুজন সিলেট জেলা শাখার সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম, কবি এ কে শেরাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেট জেলা শাখার সভাপতি হাবিবুল ইসলাম খোকা, বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়, ওয়াকার্স পার্টি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি সিকান্দার আলী, সাম্যবাদী দল সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড ধীরেন সিং, উদীচী সিলেট জেলা শাখার সভাপতি এনায়েত হাসান মানিক, জাসদ সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, সিপিবি সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনোয়ার হোসেন সুমন, ওয়াকার্স পার্টি (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখার সভাপতি সিরাজ আহমেদ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সিলেট জেলা শাখার সমন্বয়ক সুশান্ত সিনহা, আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন রশীদ সোয়েব, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন সিলেট জেলা শাখার সভাপতি খায়রুল হাছান, সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দাস খোকন, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান, ডা. অভিজিৎ চৌধুরী জয়, ডা. বীরেন্দ্র দেব, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক তামান্না আহমেদ, নারীমুক্তি সংসদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি ইন্দ্রাণী সেন, খেলাঘর সিলেট জেলার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বিধান দেব চয়ন, সাধারণ সম্পাদক তপন চৌধুরী টুটুল, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সভাপতি সরোজ কান্তি, সাধারণ সম্পাদক নাবিল এইচ।