নগরভবনের সামনে সংঘর্ষ : সিসিকের মামলায় এখনও গ্রেফতার নেই
সময় সংগ্রহ :
গত বুধবার সিলেট সিটি করপোরেশন কর্মচারী ও নগরীর ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ৩ দিন হতে চললেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। বিষয়টির তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সিসিকের লাইসেন্স শাখার কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় বুধবার দিবাগত (৩ জুন) রাত সোয়া ১২টার দিকে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ৩ নেতাসহ অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩।
মামলার এজাহারে নামোল্লেখযুক্ত আসামিরা হচ্ছেন- বাসদ নেতা ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উপদেষ্টা প্রণবজ্যোতি পাল, বাসদের সমন্বয়ক আবু জাফর এবং জেলা বাসদের সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
গত বুধবার (২ জুন) বেলা আড়াইটার দিকে সিসিক কর্মচারী ও নগরীর ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের মধ্যে আধাঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এসময় দুপক্ষই ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সিসিকের ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযানের জের ধরে এ সংঘর্ষ ঘটে।
গত ৩ দিন থেকে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে সিটি করপোরেশন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার দুপুরে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে কোর্ট পয়েন্ট’সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বেশ কয়েকটি ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করা হয়।
খবর পেয়ে ওই দিন বেলা ২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরভবনের সামনে কামরান চত্বরে রিকশাচালকরা অবস্থান নিলে সিসিকের প্রধান ফটক লাগিয়ে দেন কর্মচারীরা। এসময় রিকশাচালকরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সংঘর্ষ বাঁধে। পরে সিসিকের কর্মচারীরাও নগরভবনের গেটের ভেতর থেকে পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। সংঘর্ষের সময় রিকশাচালকরা সিসিকের ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে তৎক্ষণিক কোতোয়ালি থানা ও বন্দরবাজার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সংঘর্ষের পর নগরভবনে বিকেল ৪ টায় সিসিক কাউন্সিলরদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সভায় রিকশাচালকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও এবার থেকে নগরীর প্রতিটি রাস্তায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে, মামলা দায়েরের পর দুদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামি গ্রেফতার হননি।
এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ শুক্রবার (৪ জুন) বিকেলে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন- ‘এ মামলায় শুধু রিকশাচালক নয়, একটি রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করে তাদের আসামি করা হয়েছে। বিভিন্ন দিক সামনে রেখে মামলার তদন্ত চলছে, কাউকে এখনও গ্রেফতার হয়নি। তবে শীঘ্রই দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।’