জামা-জুতা-ব্যাগ কিনতে টাকা পাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা
সময় সিলেট ডেস্ক :
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে বইয়ের পর এবার শিক্ষার্থীদের জামা, জুতা ও ব্যাগ কিনতে টাকা দিচ্ছে সরকার। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে- এক হাজার টাকা করে পাবে ছাত্র-ছাত্রীরা। আর এজন্য বরাদ্দও রাখা হয়েছে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে- প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য বছরের শুরুতে কিট অ্যালাউন্স বাবদ প্রাথমিকভাবে ১ হাজার টাকা ও উপবৃত্তির মাসিক হার ১০০ টাকার পরিবর্তে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। এজন্য বর্তমান অর্থবছরে ৩ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা কিট অ্যালাউন্স বাবদ ও অবশিষ্ট টাকা উপবৃত্তি বাবদ ব্যয় হবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে- ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপকারভোগী শিক্ষার্থীর মায়েদের অভিভাবকদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির অর্থ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে বিকাল বাজেট অধিবেশন শুরুর পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট (প্রস্তাবিত) উপস্থাপন করেন। তিনি জানান- এবার বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। আর প্রাথমিক শিক্ষা খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ২৬ হাজার ৩১১ কোটি টাকা।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন- ‘প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের স্কুলে গমনের আনন্দ আরও জোরালো করতে প্রতি শিক্ষার্থীকে বছরের শুরুতে কিট অ্যালাউন্স (ড্রেস, জুতা ও ব্যাগ) বাবদ প্রাথমিকভাবে ১,০০০ টাকা এবং উপবৃত্তির মাসিক হার ১০০ টাকার পরিবর্তে ১৫০ টাকা করার নির্দেশনা প্রদান করেন। এজন্য বর্তমান অর্থবছরে ৩,৭১২ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি আমরা, যার মধ্যে ১,২০০ কোটি টাকা কিট অ্যালাউন্স বাবদ এবং অবশিষ্ট টাকা উপবৃত্তি বাবদ ব্যয় হচ্ছে। উপবৃত্তি কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চলমান রাখার লক্ষ্যে ৩০ জুন ২০২১-এ সমাপ্য এ কার্যক্রম আগামী অর্থবছর থেকে রাজস্ব বাজেটে পরিচালনা করা হবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন- ‘কোডিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পাঠচর্চা ও পাঠে মনোযোগী রাখার লক্ষ্যে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে ঘরে বসে শিখি কার্যক্রম চলছে। প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ সম্প্রচার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কোভিড মহামারির মাঝেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপকারভোগী শিক্ষার্থীর মায়েদের অভিভাবকদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির অর্থ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এ সংকটকালে এই উপবৃত্তির অর্থে দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবার কিছুটা হলেও সহায়তা পেয়েছে।