টিকটক হৃদয় গ্রুপের সদস্য স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
সময় সিলেট ডেস্ক :
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এক নারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব জানিয়েছে- তারা দুজন রিফাদুল ইসলাম হৃদয় ওরফে ‘টিকটক হৃদয়ের’ গ্রুপের সদস্য।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন-রুবেল সরকার ওরফে রাহুল ও মোসা. সোনিয়া। তারা ঢাকা মহানগর পুলিশের হাতিরঝিল থানার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শনিবার (৫ জুন) রাতে র্যাব বিষয়টি জানিয়েছে।
র্যাব-১১-এর সহকারী পরিচালক সম্রাট তালুকদার জানান- এই দুজনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী হৃদয়ের সরাসরি যোগাযোগ আছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নারী পাচারকারী চক্রের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।
তারা জানিয়েছেন- ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণীদের বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরির লোভ দেখিয়ে পাচার করেন। সেখানে তাদের দিয়ে ‘অনৈতিক’ কাজ করানো হয়। কেউ রাজি না হলে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে করানো হয়।
ভারতের কেরালায় বাংলাদেশি তরুণীকে নৃশংস যৌন নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার পর জানা যায়- নিপীড়কদের একজন বাংলাদেশি নাগরিক। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়- নিপীড়ক যুবক রাজধানীর হাতিরঝিলের মগবাজার এলাকার রিফাদুল ইসলাম হৃদয়। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘টিকটক হৃদয় বাবু’ নামে পরিচিত।
এ ঘটনায় হৃদয়সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
পুলিশ জানায়- সংঘবদ্ধ পাচারকারীদের নৃশংস যৌন নিপীড়নের ঘটনাটির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দুই দেশের পুলিশ ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে তৎপর হয়। এরই একপর্যায়ে বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশের অভিযানে তারা গ্রেপ্তার হন।
গ্রেপ্তারের সময় পালানোর চেষ্টা করলে সেখানকার পুলিশ গুলি করলে হৃদয়ের পায়ে লাগে। ‘টিকটক হৃদয়’ সেখানকার স্থানীয় হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন।