স্কটল্যান্ডে ‘শ্যাডো মিনিস্টার’ হলেন নবীগঞ্জের ফয়সল চৌধুরী
বিশেষ সংবাদদাতা :
স্কটিশ লেবার পার্টি থেকে শ্যাডো মিনিস্টার ফর কালচার, ইউরোপ এন্ড ইন্টারন্যাশনাল ডেভলাপমেন্ট হিসাবে নিযুক্ত হলেন স্কটিশ পার্লামেন্টের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমএসপি ফয়সল আহমদ চৌধুরী এমবিই।
তিনি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন, ইউরোপ ও কালচার সংক্রান্ত নানা বিষয়ে স্কটিশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধী দল অর্থাৎ লেবার পার্টির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
মিনিস্টার হিসাবে নিযুক্ত হওয়ায় প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন- আমি এই দায়িত্ব পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করছি সরকারের সাথে যৌথভাবে কাজের মাধ্যমে স্কটল্যান্ডের সাথে ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হব।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফয়সল লেবার পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় বহু বছর ধরে। ২০১৭ সালে ব্রিটিশ পালার্মেন্ট নির্বাচনে এডিনবরার সাউথ ওয়েস্ট আসন থেকে তিনি দলের প্রার্থী হয়েছিলেন।
এডিনবরা এবং লদিয়ান রিজিওনাল ইকুয়ালিটি কাউন্সিলেরও চেয়ারম্যান তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ সমিতি এডিনবরার চেয়ার ও এডিনবরা মেলার ভাইস চেয়ার হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
সিলেটের নবীগঞ্জের সন্তান ফয়সল চৌধুরী এডিনবরায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করেন। সেখানে নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডেও জড়িত তিনি। তরুণ বয়সে বাবা-মা’র সাথে বিলেত গিয়ে প্রথমে ম্যানচেস্টারে বসবাস শুরু করলেও পরে এডিনবরায় চলে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সময় বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরেন ফয়সল। বর্তমানে খাবার ও অতিথি ব্যবস্থাপনা ছাড়াও অর্থ ব্যবস্থাপনা ও আবাসন ব্যবসার সাথে জড়িত তিনি।
‘বাংলাদেশ সাইক্লোন আপিলে’ প্রায় আড়াই লাখ পাউন্ড তহবিল সংগ্রহ ছাড়াও দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘সেন্ট কলম্বাস হসপাইস’, লিউকেমিয়া ও ক্যান্সার আপিল’সহ ‘ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন’ এর জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন তিনি।
যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হওয়ার প্রশ্নে ২০১৪ সালে স্কটল্যান্ডে গণভোটের সময় ‘বাংলাদেশিজ ফর বেটার টুগেদার ক্যাম্পেইন’ এর সমন্বয়কারী ছিলেন ফয়সাল। মূলধারার রাজনীতিতে স্থানীয় বাংলাদেশিদের যুক্ত করতেও রয়েছে তার ভূমিকা রয়েছে।
২০০৪ সালে কমিউনিটি সেবার জন্য তিনি সম্মানসূচক খেতাব- ‘মেম্বার অব ব্রিটিশ এম্পায়ার’ পান।
ফয়সল চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরীর নাতি।